সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ থেকে আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ধুলোঝড়। তাতে একের পর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফের আরও এক ঝড়ের সতর্ক বার্তা দিল মৌসম ভবন। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিল্লির আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, পাঞ্জাব, বিহার, ঝাড়খণ্ড, সিকিম, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলে বড় রকমের ঝড় হতে পারে।
[ ভয়াল মরুঝড়ে রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে নিহতর সংখ্যা বেড়ে ১২৭ ]
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ছে বলে অনুমান করছে সরকারি মহল। এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। ঝড়ের ফলে অনেক মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে, শস্যের ক্ষতি হয়। জায়গায় জায়গায় বৈদ্যুতিন পোল ভেঙে পড়ে। ফলে বিদ্যুৎসংযোগ ছিল না অনেক এলাকাতেই। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমভাগ ও পূর্ব রাজস্থান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই এই ঝড় হচ্ছে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের এক আধাকারিক কূলদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, দিল্লি-সহ দেশের পশ্চিমের রাজ্যগুলির তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই কারণেই সেখানে ধুলোঝড় হয়েছে।
[ ভারী বর্ষণে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে উত্তরপ্রদেশে, প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যেও ]
বৃহস্পতিবার ঝড়ের ফলে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে ১০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এনিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশে গত কয়েকদিনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত শতাধিক মানুষের পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের শোক ও সমবেদনা জানাই।”
এদিকে, মাউন্ট এভারেস্টে নেমেছে তুষারধস। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন অভিযাত্রীরা। তবে এই ধস ও ধুলোঝড় একই কারণে ঘটেছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.