Advertisement
Advertisement

Breaking News

চতুর্থীতেও ভোগাবে ‘তিতলি’, বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে

চিন্তায় পুজো পাগল বাঙালি৷

Titli effect, heavy rain is expected in South Bengal
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 13, 2018 9:19 am
  • Updated:October 13, 2018 9:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তি অনেকটাই কমেছে, তবু এখনও পুরোপুরি দমেনি ‘তিতলি’৷ জারি রয়েছে প্রভাব৷ আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর আজ, শনিবারেও বজায় থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব৷ যার ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে৷ শনিবারের পর আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে৷ কিন্তু একদম স্বাভাবিক কবে হবে আবহাওয়া, স্পষ্ট সেই উত্তর দিতে পারছেন না হাওয়া অফিসের কর্তারা৷ অনুমান, রবিবারের মধ্যেই আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে৷

[কাটোয়ায় বিধবা খুনের কিনারা, পুলিশের জালে প্রেমিক]

Advertisement

পুজোর মুখে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় নাকাল ঝাড়গ্রাম ও খড়গপুর শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা৷ বিপদসীমা ছুঁইছুঁই সুবর্ণরেখা, তারাশ্রেণি ও কংসাবতী নদী৷ ঝাড়গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত থেকে চলতে থাকা বৃষ্টিতে বহু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ ভেঙেছে একাধিক পুজোর মণ্ডপও৷ এদিনের বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাঁকরাইল৷ এছাড়াও, ঝাড়গ্রাম শহরেও বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে৷ একাধিক ওয়ার্ডে জল জমার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জল নামানোর কাজ চলছে বলে ঝাড়গ্রাম পুরসভা সূত্রে খবর৷ টানা বৃষ্টি ও লাগাতার ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ রাজ্য ও জাতীয় সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ৷ রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে৷ ঝড়ে তার ছিঁড়ে পড়ায় বেশ কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়৷ বৃষ্টি কমা না পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর৷ চিন্তায় রয়েছে রাজ্য প্রশাসনও৷ আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উৎসবের দিনগুলিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে প্রশাসনকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গোটা পরিস্থিতির উপর মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখছেন বলেও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে৷

Advertisement

শক্তি কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবারই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। আর এর জেরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আগেই জানায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় তিতলি আছড়ে পড়ে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে৷ প্রবল ঝড়ে বিপর্যস্ত গোটা গোপালপুর৷ ভেঙে যায় একাধিক কাঁচা বাড়ি৷ অন্ধ্রপ্রদেশে এই ঝড়ের মুখে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে আট জন৷ জখম হয়েছেন আরও অনেকে৷ প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। গোপালপুরে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছেন পাঁচজন মৎস্যজীবী৷ 

[আয় বাড়াতে পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে মাছ ছড়াল মৎস্য দপ্তর]

আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, ওড়িশা উপকূল হয়ে বাংলায় ঢুকবে তিতলি৷ শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয় গভীর নিম্নচাপে। তার জেরে বৃহস্পতিবার সারাদিন কলকাতায় বৃষ্টি হয়। শনিবারও উপকূল অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের আজও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলবে শনিবার পর্যন্ত। সামগ্রিক প্রভাব কাটিয়ে আকাশে শরতের নীলিমা ফিরতে ফিরতে সেই সোমবার হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ