সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ঝাড়গ্রামে বীরবাহা সোরেন আর পুরুলিয়ায় মৃগাঙ্ক মাহাতো। জঙ্গলমহলে প্রচারে নামলেন শাসকদলের দুই প্রার্থী। এদিকে দ্বিতীয় দিনে সাইঁথিয়ায় প্রচার সারলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ও।
[দীর্ঘ আলোচনার পর প্রকাশিত বাম প্রার্থীতালিকা, ২৫ আসনে লড়বে শরিক-সহ সিপিএম]
গত লোকসভায় উমা সোরেনের মতো এবারও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। বৃহস্পতিবার জামবনিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের প্রার্থী বীরবাহা সোরেন। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। এই জামবনি ব্লকেরই ছোটবনসরো গ্রামে বাপের বাড়ি বীরবাহার। শুক্রবার বাড়ির বড়দের আশীর্বাদ নিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন তিনি। পড়িহাটি এলাকার নিজের হাতে দেওয়াল লেখেন ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা সোরেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জামবনি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নিশীথ মাহাতো, ব্লকের যুব সভাপতি তন্ময় পানি, অঞ্চল সভাপতি-সহ দলের কর্মীরা। ঝাড়গ্রামের রোহিনী বালিকা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বীরবাহা সোরেন। স্বামী রবিন টুডু আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনের প্রথম সারির নেতা।
দিনভর উপোস করে কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন পুরুলিয়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতোও। সকালে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পুরুলিয়া শহরে চকবাজার এলাকার একটি কালীমন্দিরে হাজির হন তৃণমূল প্রার্থী। রীতি মেনে পুজো দিয়ে প্রচারে বেরোন মৃগাঙ্ক মাহাতো। প্রার্থী সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য নিয়তি মাহাতো। পুরুলিয়া কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো বলেন, “রাজ্যের ৪২টি আসনে আমরা জিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেব। আমাদের লক্ষ্য দিল্লি।” ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও পুরুলিয়া কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন মৃগাঙ্ক মাহাতো। তাই এবারও তিনি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর৷
ছবি: প্রতিম মৈত্র ও সুনীতা সিং
[ ‘মহুয়া’য় মন মজেছে কৃষ্ণনগরের, প্রথম দিনেই নজরকাড়া প্রচার]