Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুপ্রিম রায়ে বীরভূমে বিজয়োৎসব তৃণমূলের, গণতন্ত্রের জয় বললেন অনুব্রত

চলেছে আবির খেলা, মিষ্টি বিতরণ৷

TMC Celebrat victory of democracy

ছবি: বাসুদেব ঘোষ৷

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:August 24, 2018 7:17 pm
  • Updated:August 24, 2018 8:00 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দ্বিতীয়বার বিজয়োৎসবে মাতল তৃণমূল৷ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বোর্ড গঠনের নির্দেশ জারি হতেই শুক্রবার বীরভূম জেলাজুড়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে শুরু হয়েছে আবির খেলা৷ মিষ্টি বিতরণ৷ আদালতের রায়ে দলের জয় প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এ জয় গণতন্ত্রের জয়। উন্নয়নের জয়।’’ তবে, কবে বোর্ড গঠন হবে সে নিয়ে এখনই চিন্তিত নয় জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি। তিনি বলেন, ‘‘এ জয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷’’

[যজ্ঞের পর গঙ্গাসাগরে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম ভাসালেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা]

দেশের শীর্ষ আদালত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল৷ কারণ জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি পঞ্চায়েতে আগামী ২৭ আগস্ট বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। বাকি ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বেশিরভাগ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। স্বভাবতই শুক্রবার সকালে আদালতের ফল ঘোষণা হতেই উল্লাস শুরু হয়ে যায় পার্টি অফিসে৷ মহম্মদবাজারে ব্লক সভাপতি তাপস সিনহার নেতৃত্বে সবুজ আবির খেলা শুরু হয়ে যায়। কারণ সেখানেই বিজেপি-সহ বিরোধীরা একরকম জোর করে মনোনয়ন দিতে পেরেছিল৷ মহম্মদবাজারে ১১০টি আসনের মধ্যে ৮৯টিতে নির্বাচন হয়েছিল। জেলার ২২৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল ২৭৯টিতে। তার মধ্যেও তৃণমূলের জয় এসেছিল ২০৫টিতে। ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৬৫টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল ৬০টি আসনে৷

Advertisement

[থমকে সম্প্রসারণের কাজ, বেহাল জাতীয় দু’নম্বর সড়ক এখন বিভীষিকা]

Advertisement
ছবি: বাসুদেব ঘোষ৷

যেখানে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ৫১টিতে। জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে সব ক’টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে তৃণমূলের পক্ষে। তাই এদিন রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বোর্ড গঠনের তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে। তবে তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে, গত একমাস আগেই প্রতিটি ব্লক ধরে ধরে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। জেলার সহ-সভাপতি অভিজিত রানা সিংহ বলেন, ‘‘প্রতিটি ব্লকের পর্যবেক্ষক ইতিমধ্যে এলাকার বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে৷ কোন পঞ্চায়েত বা সমিতির কে দায়িত্ব নেবেন তা চূড়ান্ত করে তালিকা জেলা দপ্তরে জমা দেওয়া হবে৷ এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বোর্ড গঠনের দিন ঘোষণা করলেই আমরা প্রস্তুত।’’ এপ্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে পঞ্চায়েতে সরকারি পর্যবেক্ষক নিয়োগ কাম্য নয়। তাতে এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যায়। এই রায় বীরভূমের গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের গতিকে আরও তরান্বিত করবে।’’

[পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করার আরজি, হাই কোর্টে মামলা বিজেপির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ