Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC leader Kunal Ghosh junks allegation on Tapan Kandu witness death

Tapan Kandu Murder Case: ‘পুলিশের প্ররোচনা’য় আত্মঘাতী তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী, বিরোধীদের দাবি খারিজ কুণালের

বুধবার সকালে তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

TMC leader Kunal Ghosh junks allegation on Tapan Kandu witness death । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 6, 2022 3:05 pm
  • Updated:April 6, 2022 3:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder Case) প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা হিসাবে মানতে নারাজ বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি খারিজ শাসকদল তৃণমূলের। পুলিশি তলবের সঙ্গে আত্মহত্যার কোনও যোগসূত্র নেই বলেই দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।

পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) তপন কান্দুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন নিরঞ্জন ওরফে শেফাল বৈষ্ণব। সে কারণেই গত ১৩ মার্চ ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন শেফালও। চোখের সামনে দেখেন আততায়ীরা খুন করছে কাউন্সিলরকে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে তথ্যের খোঁজে একাধিকবার পুলিশ তাঁকে জেরাও করে। ইতিমধ্যেই তপন কান্দু হত্যা মামলার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছুরি হাতে দৌড়, বাধা দিলেই এলোপাথাড়ি আঘাত যুবকের, কল্যাণী স্টেশনে রক্তারক্তি]

তারই মাঝে বুধবার সকালে তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। বারবার পুলিশি জেরার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেই সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেন নিরঞ্জন। পরিবারের দাবি, তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে পুলিশই।

Advertisement

বিরোধীদের গলায়ও একই সুর। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, তপন কান্দু খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিরঞ্জনকে খুন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যুর পর কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রীকেও খুনের আশঙ্কায় অধীর চৌধুরী। যদিও কংগ্রেস সাংসদের দাবি খারিজ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তদন্তের আগে উপসংহারে পৌঁছতে চাই না। অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করা স্বাভাবিক বিষয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কতটা চাপ নিতে পারছেন বা পারছেন না, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কেন আত্মহত্যা হবে? তাঁর উচিত ছিল সহযোগিতা করা। তদন্ত তো সিবিআই করছে। তাহলে চাপ নিতে পারছেন কিনা, এসব কথা আসছে কেন? তদন্ত হোক। কী ঘটেছে তা নিশ্চয়ই সামনে আসবে। অযথা তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঝালদায় মৃত্যুর রাজনীতিতে কারা লাভবান হচ্ছেন আর কাদের ক্ষতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।”

[আরও পড়ুন: একাধিক পরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডলকে ভরতির সিদ্ধান্ত SSKM-এর চিকিৎসকদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ