দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার (TMC leader) মৃত্যু। এসএসকেএম হাসপাতালে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, এই ঘটনায় বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির দাবি, অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন তিনি।
নিহত মহরম শেখ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি ছিলেন। শনিবার সন্ধেয় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ক্যানিং (Canning) থানার সাতমুখী এলাকায় রাস্তায় তাঁকে আক্রমণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দু’টি গুলি বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাত ২টো নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার রাত থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন ক্যানিং থানার পুলিশকর্মীরা। ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল যুব নেতার খুনকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই জড়িত। যদিও সে দাবি অস্বীকার করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ক্যানিংয়ে তৃণমূল ছাড়া বিরোধী আর কেউ আছে কি? পশ্চিমবঙ্গে হিংসার রাজনীতি চলছে। কাটমানি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই খুন হতে হয়েছে মহরম শেখকে। এছাড়া আর কিছুই নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.