Advertisement
Advertisement
TMC MLA

ব্লক সভাপতি করার নামে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক

সব মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দাবি অভিযুক্ত বিধায়কের।

TMC MLA accused of taking bribe for Party post | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 11, 2022 10:32 am
  • Updated:September 11, 2022 10:32 am

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: ব্লক সভাপতির সাংগঠনিক পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায় (Bimalendu Sinha Roy)। তৃণমূলের এক কর্মী করিমপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের কাছে।

জানা গিয়েছে, করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি পদের টোপ দিয়ে বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায় দলের তহবিলের নাম করে ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন হাসান আলি মণ্ডল ওই এলাকার এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। এদিকে কয়েকদিন আগে তৃণমূলের (TMC) নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, এর পর হাসান আলি মণ্ডল বিধায়কের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিধায়ক বিভিন্নভাবে তাঁকে হুমকি দেন। সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুক্রবার ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের মিছিল ভরাতে বিপুল খরচ বিজেপির, ভাড়া করা হচ্ছে ৭টি ট্রেন!]

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়। তাঁর দাবি, সব মিথ্যা, হাসান আলির (Hasan Ali Mandal) অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেব। ওর মিথ্যে অভিযোগ করার পেছনে কারও কোনও ইন্ধন থাকতে পারে। এই মিথ্যা অভিযোগের জন্য কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপার ও করিমপুর থানায় (Karimpur Police Station) অভিযোগ করেছি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে বাড়ি থেকে উদ্ধার ১৮ কোটি! ‘বাংলার অর্থনীতি ভাঙার চেষ্টা ইডির’, সরব ফিরহাদ]

ইতিমধ্যে করিমপুর থানার পুলিশ হাসন আলি মণ্ডলকে আটক করেছে। করিমপুর থানায় ঢোকার আগে ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী অভিযোগ করেছেন, “টাকা দিয়েছিলাম, ফেরত পায়নি। তাই কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে টাকা দেওয়ার কোনও প্রমাণ আমার কাছে নেই। আইনে যা হবার তাই হবে। এই অভিযোগ করার ক্ষেত্রে কেউ আমাকে প্ররোচিত করেনি।” নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কল্লোল খাঁ জানান, “অভিযোগ করলেই তো হয় না। অভিযোগকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। তিনি যদি টাকা দেওয়ার কথা প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃষানু রায় জানান, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ