Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিদিকে বলো

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে মিষ্টি কথায় স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমন বারাবনির বিধায়কের

রূপনারায়ণপুরে বৃদ্ধ দিনমজুরের বাড়িতে রাত্রিযাপন করলেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়।

TMC MLA in Barabani Bidhan Upadhyay manages agitatation of local people well
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 23, 2019 12:56 pm
  • Updated:August 23, 2019 12:56 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: সমস্যার শেষ নেই।এলাকায় জল-নিকাশির চরম সমস্যা। আবেদন করেও মেলেনি পাকা বাড়ি। তাই স্থানীয় বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে এলাকার মহিলারা এসব সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসিমুখে মিষ্টি কথা আর রসিকতায় গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিশে সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশে জল ঢেলে দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। 

[আরও পড়ুন: কচুয়ায় লোকনাথ ধামে পুণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে জখম বহু]

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঘিরে রাজ্যের তৃণমূল বিধায়করা এখন শশব্যস্ত। সেই কর্মসূচিতে নেমেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জনসংযোগ, সন্ধেবেলায় জনশ্রুতি করে গ্রামের বাড়িতে রাত কাটালেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। দিনমজুর নিমাই ঘোষের মাটির বাড়িতে রুটি, সবজি খেয়ে খাটিয়ায় শুয়ে রাত্রিযাপন করলেন বিধায়ক। তাঁকে সঙ্গ দিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল ব্লক সভাপতি মহম্মদ আরমান।

Advertisement

এদিন রাত্রিযাপনের জন্য বিধান উপাধ্যায় বেছে নেন রূপনারায়ণপুরের বাসন্তী মন্দির সংলগ্ন বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি। নিমাই ঘোষ ও শোভা ঘোষের কোনও পুত্রসন্তান  নেই। তাই বিধায়ককে কাছে পেয়ে তাঁকে একেবারে পুত্রস্নেহে আপ্যায়ণ করেন তাঁরা। বৃদ্ধ এই দম্পতি এতটাই হতদরিদ্র যে চশমা ভেঙে গেলেও তা পালটানোর সাধ্য নেই। তা জানতে পেরে বিধায়ক তাঁদের নতুন চশমা কেনার ব্যবস্থা করে দেন।

Advertisement
baraboni-mla2
বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে রাত্রিযাপন বিধায়কের

বারাবণির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় সকাল থেকে রূপনারায়ণপুর গ্রাম, বাউরি পাড়া, শ্রীগুরু পল্লি এলাকার বিভিন্ন পড়ায় পাড়ায় নিজে ঘুরে ঘুরে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। মানুষের অভাব অভিযোগ কথা শোনেন। দেখতে পান, পাড়ার অন্তত ৬০টি পরিবারের ঘরবাড়ি একেবারে ভাঙাচোরা। বিধায়ককে এদিন হাতের কাছে পেয়ে মহিলারা ঘিরে ধরেন। প্রথমদিকে উচ্চস্বরে কথা বললেও বিধানবাবু নিজে সহজসরলভাবে জনতার সঙ্গে মিশে যাওয়ায় সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়। নালিশ বা অভিযোগের সুর ছেড়ে তখন বিধায়ককে তাঁরা আপনজন মনে করে মনের কথা খুলে বলেন। 

[আরও পড়ুন: হাসপাতালে প্রসূতিকে ভুল গ্রুপের রক্ত দিলেন চিকিৎসকরা! গর্ভস্থ ভ্রুণের মৃত্যু]

বাউরি পড়ায় মানুষের মূল অভিযোগ সেখানকার পানীয় জল সমস্যা। নর্দমার জল বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায়। এলাকায় কুয়োর অবস্থা খারাপ হওয়ায় ব্যবহার করা যায় না। তিনি শিগগিরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। দিন পনেরোর মধ্যে সাবমার্সিবল পাম্প লাগিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। ফেরার সময় ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বর-সহ ভিজিটিং কার্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেন। তবে এদিন স্থানীয়দের সমস্ত অভিযোগ শুনে, তার সমাধানের আশ্বাসের বদলে তাঁদের কাছ থেকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেন। বিধায়কের সঙ্গে জনসংযোগে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি, সালানপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও তৃণমূল কর্মীরা। বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় জানান যে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রটি অনেক বড় ও প্রত্যন্ত এলাকায়। এখানে বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে – সালানপুর এবং বারাবনি। সালানপুরের পর এবার বারাবনিতে পরবর্তী নিশিযাপনের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানান তিনি।

ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ