Advertisement
Advertisement

‘মানসিক শান্তি কিনতেই সারদার টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত’, মন্তব্য শতাব্দীর

‘কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করিনি’, ধন্দ উড়িয়ে জানালেন বীরভূমের সাংসদ৷

TMC MP Satabdi Roy clears the purpose of returning Sarada's money
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 10, 2019 9:22 am
  • Updated:August 10, 2019 9:22 am

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ‘মানসিক শান্তি কিনতে সারদার টাকা ফেরত দিতে চাই’৷ শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই জানালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ সাফ জানালেন, পারিশ্রমিক হিসাবেই চিটফান্ড সংস্থা সারদার থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি৷ তাই, কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করে নয়, রোজকার জীবনে শান্তিতে থাকতেই, ওই টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ 

[ আরও পড়ুন: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন, বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ]

Advertisement

শুক্রবার নলহাটির ভগলদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আবাসের উদ্বোধন করেন শতাব্দী রায়৷ এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বীরভূমের সাংসদ৷ ‘‘কোন পরিস্থিতিতে চিটফান্ড সংস্থার টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিলেন?’’ এই প্রশ্ন শুনে প্রথমে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেও, পরে তা সামলে নেন৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘কাউকে ভয় পেয়ে নয়। কোন চাপে নয়। যেটা আমি করব সেটা আমার সিদ্ধান্ত। আমার নিজের ইচ্ছে। যে টাকা নিয়েছিলাম সেটা আমার পারিশ্রমিক।’’ এরপরই তাঁকে পালটা প্রশ্ন করা হয়, ‘‘পারিশ্রমিক ফেরত দেবেন কেন?’’ উত্তরে শতাব্দী জানান, “শান্তি যদি কিনতে হয় কিনব। অশান্তি আর ভাল লাগছে না। তাছাড়া তোমাদের এই প্রশ্ন আর ভাল লাগছে না৷” ‘‘আপনার দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা চিত্রাভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পথেই কি হাঁটবেন?’’ এই প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তরে বীরভূমের সাংসদ জানান, ‘ভাবছি’।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদে ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুন, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী ]

জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রথমে মা তারার পুজো দেন শতাব্দী রায়। তারপর যান নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভগলদিঘী গ্রামে। সেখানেই ভগলদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সংখ্যালঘু ছাত্রী আবাসের উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সংখ্যালঘু দপ্তরের আধিকারিক সায়ন্তন বসু, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও হুমায়ূন চৌধুরি, তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য ত্রিদিব ভট্টাচার্য এবং স্কুলের সম্পাদক সেলিম আক্তার। এদিন নতুন করে জনসংযোগের কথাও বলেন এলাকার সাংসদ৷ তিনি জানান, “প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। এখন শুধু বিজ্ঞাপন হচ্ছে। আমি তো প্রায়শই এখানে আসি। তবে যারা মানুষের সঙ্গে থেকেছেন তারা ফল পেয়েছেন। যারা মানুষের সঙ্গে থাকবেন না, তাদের জায়গা অন্য কেউ দখল করে নেবে৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ