মৃতদের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব দল
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের বাড়িতে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রবিবার সকালে হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের বাড়িতে পৌঁছে যান রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। বাড়ির বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন তাঁরা।
মুর্শিদাবাদের অশান্তির মাঝে খুন হন হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ঘোষণা করেন। তবে সেই সাহায্য নিতে অস্বীকার করে মৃতের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়। তারপর তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এরপরই রবিবার সকালে তাঁদের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কী নিয়ে কথা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খুনের সঙ্গে যুক্তদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ির সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চেয়ে সাংসদ-বিধায়করা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যেকোনও অসুবিধায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সঙ্গে সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়েও কথা হয়েছে বলে খবর। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর স্থানীয় সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয়দের থেকে বহিরাদগতদের কথা শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সেই অশান্তির মাঝে জাফরাবাদে খুন হয় বাবা-ছেলে। বাড়ি থেকে টেনে এনে তাঁদের খুনের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হয়েছে জিয়াউল শেখ নামে এক অভিযুক্ত। আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কালু নাদাব, দিলদার নাদাব ও এনামূলকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জিয়াউলকে দক্ষিণ দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে সিট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.