স্টাফ রিপোর্টার: নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে জনউন্মাদনায় চাপে পড়ে ‘তুই তোকারি’ সম্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ধানতলা থানার কুলগাছি গ্রামে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপর বহিরগাছিতে দলীয় কর্মসূচিতে একটি সভা থেকে অভিষেককে আক্রমণ করতে গিয়ে ‘তুই তোকারি’ করে তিনি বলেন, ‘‘যদি সাহস থাকে আটকে দেখা। আমার রাজনীতির বয়স ৩৩ বছর। তুই যার আলোয় আলোকিত, তোর পিসিমণি, তাঁকে আমি হারিয়েছি।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) শুভেন্দুর এই ‘তুই তোকারি’ সম্বোধন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘শুভেন্দু ১৫ বছরের ছোট অভিষেককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন। ব্যক্তি ঈর্ষায় অভিষেককে আক্রমণ করেন, ব্যক্তিগত চক্রান্তমূলক কথা বলেন। অভিষেক মাথা উঁচু করেই তার জবাব দিচ্ছেন। দিল্লি নিয়ন্ত্রিত এজেন্সিকে ব্যবহার করে নিজের সাংগঠনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করেন শুভেন্দু। তাতে সোজা ভাষায় উত্তর দিয়েছেন অভিষেক।’’
[আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগে আরও এক ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস]
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে অভিষেকের কর্মসূচিতে জনবিস্ফোরণ ঘটে। রাত সওয়া ন’টা নাগাদ নন্দীগ্রামের তেঙ্গুয়া মোড়ে ছিল লক্ষাধিক মানুষ। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তুলোধোনা করেন বিরোধী দলনেতাকে। বক্তব্যের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীকে টার্গেট করেন অভিষেক। নন্দীগ্রামে অভিষেকের এই কর্মসূচিতে জনবিস্ফোরণ দেখে চাপে পড়ে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই চাপে পড়েই পরদিনই অভিষেককে কুরুচিকর ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণ ও ‘তুই তোকারি’ সম্বোধন করেছেন শুভেন্দু।
এদিকে, নন্দীগ্রামে অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক মহামিছিল হয়েছে। সেখানে নৈশবিপ্লব হয়েছে। শুভেন্দু তো লোডশেডিংয়ে জিতে ফল উলটে বিধায়ক হয়েছে। আর অভিষেক সেই অন্ধকারে আলো জ্বেলেছে। অভিষেককে যেভাবে নন্দীগ্রাম গ্রহণ করেছে তাতে শুভেন্দুর পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। নন্দীগ্রাম তৃণমূলের ছিল, আছে ও থাকবে।’’