বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারের দিনহাটায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভামঞ্চে আগুন লাগিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। এলাকায় চলল ব্যাপক বোমাবাজি। জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের হুঁশিয়ারি, ধমকে-চমকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের সমস্ত অঞ্চলের সভা করা হবে। এদিকে আবার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই সভামঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক দিন বাদে আবার কোচবিহার আসছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাজুড়ে এখন এই দুটি সভার প্রচার চালাচ্ছেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের বড় আটিয়াবাড়ির ফকিরেতকেয়া গ্রামে সভা ছিল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের। সভার মূলবক্তা ছিলেন কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। এদিন ভোরে সভামঞ্চে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল দুষ্কৃতী, চলে ব্যাপক বোমাবাজিও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা থানার পুলিশ। কিন্তু, ততক্ষণে পালিয়েছে দুষ্কতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[ ‘৮০ টাকা দিতে পারছি, ২০ টাকাও পারব’, কৃষিবিমা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]
এই ঘটনায় অবশ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি বাতিল হয়নি। পূর্ব ঘোষণা মতোই বুধবার দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ির ফকিরেতকেয়া গ্রামে সভা হয়েছে। সভায় হাজির ছিলেন জেলা যুব তণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। এভাবে ধমকে-চমকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু বড় আটিয়াবাড়িই নয়, ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের সমস্ত এলাকায় সভা করবে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, বড় আটিয়াবাড়ি এলাকায় সভামঞ্চে আগুন লাগাল কারা? দুষ্কৃতীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন শাসকদলের যুবশাখার স্থানীয় নেতৃত্ব। যদিও এলাকার বাসিন্দারা অন্যকথা বলছেন। তাঁদের দাবি, ইদানিং কোচবিহার যুব তৃণমূল কংগ্রেসে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছেছে। আর তারই ফলশ্রুতিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস