ফাইল ছবি
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাজ্যের বিনা অনুমতিতেই টোল আদায়! দুর্গাপুর নগর নিগমের ‘জুলুম’ বন্ধ করল হাই কোর্ট। বন্ধ হয়ে গেল টোল আদায়। রাজ্যকে না জানিয়ে নগর নিগমের দুর্নীতি চলছেই বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। কোনও দুর্নীতিই হয়নি, পালটা দাবি নগর নিগমের।
দুর্গাপুর নগর নিগমের লেনিন সরণী, কাঞ্জিলাল অ্যাভিনিউ, বনফুল সরণি, নাচন, হ্যানিম্যান সরণিতে রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৭টি টোল। সেই টোলগুলি থেকে কারখানার পণ্যবাহী গাড়ির টোল নেওয়া হত। ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা নিগমের কাছে আবেদন করেছিলেন ১২ টনের নিচে পণ্যবাহী গাড়িতে যাতে টোল নেওয়া না হয়। কিন্তু সেই আবেদনে কোনও সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
তারপরই দুর্গাপুরের ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের বিনা অনুমতিতে দুর্গাপুর নগর নিগম টোল আদায় করছে বলে মামলা হয়। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে দুর্গাপুর নগর নিগমের অধীনস্ত যতগুলি টোল আছে, সবকটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তারপরই বুধবার সকাল থেকে সব টোল বন্ধ করল দুর্গাপুর নগর নিগম।
দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলী শুধু অপদার্থই নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও কটাক্ষ করে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই টোল আদায় চলছে। ১৯৯৭ সাল থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমে বোর্ড গঠন হওয়ার পর বাম আমল থেকে একইভাবে তৃণমূল আমল পর্যন্ত এই দুর্নীতি চলে আসছে। এই টোল যে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধ, তা মহামান্য হাই কোর্ট পরিষ্কার করে দিয়েছে।”
কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে পালটা দিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও তা নেওয়া হয়নি। তবে আমি তো কিছুদিন যাবত এসেছি। কিন্তু এইভাবে টোল আদায় দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। সরকারি নিয়মগুলো জানার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় গিয়েছিলাম। সমস্ত নিয়ম মানা হবে। সম্প্রতি হাই কোর্ট আমাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, সরকারি নির্দেশ লাগবে। সেই জন্য তিনমাস নগর নিগমের সমস্ত টোল বন্ধ রাখতে হবে। আমরা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো সমস্ত টোল আপাতত বন্ধ রাখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.