সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক শিলিগুড়িতে। ফের পাতা হল খাঁচা। এবার খাঁচার সংখ্যা বেড়ে হল দুই। সেবক রোডের আড়াই মাইল এলাকায় ছাগলের টোপ দিয়ে এবার দুটি ফাঁদ বসিয়েছে বনদপ্তর। তবে এখনও পর্যন্ত ফাঁদে পা দেয়নি চিতাটি। যদিও এলাকায় একাধিকবার দেখা মিলেছে প্রাণীটির। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা।
[নিটের প্রশ্ন বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়ে চিঠি জাভড়েকরকে]
কয়েকদিন আগেই আড়াই মাইল এলাকার একটি শপিংমলের কাছে প্রথম দেখা যায় চিতাটিকে। খবরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় শহরে। টানা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থেকেও চিতার দেখা পাননি বনকর্তারা। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পেতেও লাভ হয়নি। সমস্ত আয়োজন পণ্ড করেছে প্রাণীটি। গত বুধবার আড়াই মাইলের কাছে হিমঘর এলাকায় দেখে মেলে চিতাবাঘের। তারপর বাঘটিকে ধরতে খাঁচা পাতে বনদপ্তর। কিন্তু বাঘের হদিশ মেলেনি। অগত্যা শনিবারই এলাকা থেকে খাঁচা তুলে নিয়ে যান বনর্কমীরা। কিন্তু ফের চিতাটির দেখা মেলে। ফলে এবার ফের দু’টি খাঁচা পেতে প্রাণীটিকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে বনদপ্তর।
এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারা। যেকোনও সময় ফের হামলা হতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছে। আর এই আতঙ্ক থেকেই মুখে মুখে ছড়াচ্ছে গুজব। ফোন যাচ্ছে বনদপ্তরে। ছুটে যাচ্ছেন বনকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতের দিকে এলাকার কুকুরদের ঘেউ ঘেউ শুনেও অনেকে চিতার হানার আশঙ্কা করছেন। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউই। বনকর্তাদের মতে আড়াই মাইল এলাকার দু’পাশে বৈকুন্ঠপুর ও মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির জঙ্গল আছে। এই দু’টি জঙ্গলের কোনও একটি এলাকা থেকেই এসেছিল চিতাটি। খাবারের সন্ধানেই লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে প্রাণীটি। ইতিমধ্যে ঘুমপাড়ানি গুলি ও খাঁচা নিয়ে প্রস্তুত বনদপ্তরের কর্মীরা। চিতাটিকে খাঁচাবন্দি করে জঙ্গলে ছেড়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
[পাঁচিল টপকে কীভাবে পাচার হত আগ্নেয়াস্ত্র, ইছাপুরে গোয়েন্দাদের দেখাবে ধৃতরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.