Advertisement
Advertisement

Breaking News

গণপিটুনি

ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে মৃত্যু মামলার সাজা ঘোষণা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১২ জনের

সাজা ঘোষণা কালনা আদালতের।

Tweleve people gets life prisonment in Kalna lynching case

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 11, 2019 4:19 pm
  • Updated:November 11, 2019 4:19 pm

রিন্টু ব্রহ্ম ও সৌরভ মাজি: ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক মহিলা-সহ বারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা আদালত। দোষীদের কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন কালনা অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারপতি তপনকুমার মণ্ডল। আদালতে উপস্থিত নিহতদের পরিজনেরা এই রায়ে অত্যন্ত খুশি।

২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি নদিয়ার রাঘবপুর থেকে পাঁচজন দিনমজুর আম গাছে কীটনাশক এবং জল স্প্রে করার কাজের জন্য কালনায় এসেছিলেন। কালনার বারুরইপাড়ায় যান তাঁরা। সেই সময় স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে রাখে। ওই পাঁচ জন তাঁদের পরিচয়পত্র দেখান। তাঁরা কী কাজে এখানে এসেছেন, তাও জানান। কিন্তু উন্মত্ত জনতা তাঁদের কথা শোনেনি। ওই পাঁচজনকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আরও লোকজন জমায়েত হয়ে গণপিটুনি দেয় তাঁদের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখমদের উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে। সেখানে অনিল বিশ্বাস ও মাণিক সরকার নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। ব্যঞ্জন বিশ্বাস, মধুমঙ্গল তরফদার ও সমীর দাস গুরুতর জখম হন। সেদিন বিকেলেই মৃত অনিল বিশ্বাসের ছেলে রাজু কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

ঘটনার তদন্ত শুরু করে কালনা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। মৃত ও আহতদের রক্তমাখা জামাকাপড়ও উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করেন তিনি। জখমরা আদালতে ও টিআই প্যারেডে কয়েকজনকে শনাক্ত করেন। সেদিনের গণপিটুনির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, ভাইরাল হওয়া ছবি, মোবাইলের ছবি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ছবি পাঠিয়ে শনাক্ত করা হয় ৮ জনকে। তদন্ত চলাকালীন এক নাবালক-সহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন মোট ৫৭ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমি বিচারপতি হলে অযোধ্যার রায়টা অন্যভাবে দিতাম’, কী বলতে চাইলেন তসলিমা?]

এই ঘটনায় মোট ১৯জন বিচারাধীন ছিল। তাদের মধ্যে সাতজন অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পায়। ১২ জন ছিল জেল হেফাজতে। সেই ১২জনের মধ্যে ১১জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। অন্যদিকে, জামিনে থাকা ১ জনকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়। একজন নাবালক হওয়ায় জুভেনাইল আদালতে বিচার চলছে তার। অন্যদিকে, ৬ জন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। সরকারি আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্তদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯,৩২৬, ৩০৭, ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।” সোমবার এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ বারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা আদালত। দোষীদের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন কালনা অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারপতি তপনকুমার মণ্ডল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ