Advertisement
Advertisement

Breaking News

Duttapukur

পেশায় অটোচালক, হাতে লক্ষাধিক টাকার আইফোন, পুলিশের নজরে ধৃত বাংলাদেশি নুরুলের আয়ের উৎস

ধৃতরা বাংলাদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা।

Two Bangladeshi allegedly arrested from Duttapukur

প্রতীকী ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 12, 2025 8:34 pm
  • Updated:January 12, 2025 8:40 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: বাংলাদেশ থেকে কয়েকদিন আগে অনুপ্রবেশ। নিজের ঠাঁই তৈরির পর অন্য অনুপ্রবেশকারীদের জাল পরিচয়পত্র তৈরিতে সাহায্য। স্থানীয়দের দাবি, পেশায় অটোচালক হলেও নুরুল নাকি লক্ষাধিক টাকার আইফোন ব্যবহার করত। তার জীবনযাত্রাও ছিল বেশ অন্যরকম। স্থানীয়দের বক্তব্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের মনে। দত্তপুকুর থেকে ধৃত বাংলাদেশি নুরুলের আয়ের উৎসের খোঁজে পুলিশ।

ওপার বাংলার গাজিপুরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম এদেশে এসে নাম ভাঁড়িয়ে হয়েছিল নারায়ণ অধিকারী। বাবার নাম গিয়াস মিঞার পরিবর্তে করেছিল নগেন অধিকারী। থাকছিল বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। এই রফিকুলেরও আদপে বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিহাট এলাকায়। দুজনেরই সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পেয়ে নজর রাখছিল পুলিশ। শেষে শনিবার রাতে দুজনকেই বামনগাছি চৌমাথা সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

Advertisement

বারাসত এলাকা থেকে এর আগেও বাংলাদেশিদের এদেশের পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সমীর দাস-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ফের দুই বাংলাদেশির বারাসতে যোগাযোগের খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত নুরুল বিগত তিন-সাড়ে তিন বছর ধরে বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার রফিকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকার নামে আশ্রয় নিয়েছিল। এই সময়কালেই সে নারায়ণ নামে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রফিকুল আবার বিগত প্রায় কুড়ি বছর ধরে থাকছিল এদেশে। প্রথমে সে দত্তপুকুর এলাকায় থাকলেও পরে দক্ষিণ কাজিপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকতে শুরু করেছিল।

পেশায় লোক দেখানো অটোচালক হলেও দুজনের জীবনযাত্রা, লক্ষাধিক টাকার আইফোন ব্যবহার করা নিয়ে স্থানীয় ও পরিচিতদের সন্দেহ হয়। তারই মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উত্তাল পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় শুরু হলে এই দুজনের গতিবিধির উপরও নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। শেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে নুরুল ওপার বাংলার ক্লায়েন্ট জোগাড় করত। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে রফিকুলের মাধ্যমে সে বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত। ধৃত দুজনের সঙ্গে বারাসত থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চারজনের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement