শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: সন্ধেবেলা বাড়ির খড়ের চালে আগুন। ব্যাস, সেটাই দাউদাউ করে জ্বলে হয়ে উঠল প্রাণঘাতী। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল দুই শিশুকন্যার। অকস্মাৎ এই ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেবেলা দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে দাসপুরের মাগুড়িয়া গ্রামের অরুণ সামন্ত ও তাঁর স্ত্রী বেরিয়েছিলেন। ৫ বছরের সুদীপা এবং বছর তিনেকের যশোদা ঘরে খেলা করছিল। পাশেই জ্বলছিল কেরোসিনের বাতির। দুই বোনের খেলার মাঝে আচমকাই বাতিটি উলটে পড়ে যায়। আগুন ধরে যায় ঘরে। সেখান থেকে খড়ের চালে আগুন পৌঁছতেই তার লেলিহান শিখা গ্রাস করে গোটা বাড়িটাকে। দুই শিশু ঘর থেকে বেরতে পারেনি। ফলে আগুনে ঝলসে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় দু’জনের।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ছত্রধর? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পর তুঙ্গে জল্পনা]
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ফিরে আসেন অরুণ সামন্ত। ঘরে ফিরে কচি দুই মেয়ের ঝলসানো দেহ দেখে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বেশ খানিকক্ষণ পর প্রতিবেশীদের সহায়তায় সম্বিৎ ফেরে তাঁর। দুই মেয়েকে একলা বাড়িতে রেখে এভাবে চলে যাওয়ার জন্য এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তার জন্য তিনি নিজেকেই বারবার দায়ী করছেন। প্রতিবেশী গোপাল করণ বলেন, ”সন্ধেবেলা মেয়েদের একলা রেখে ওঁরা বাইরে গিয়েছিল। রাত আটটা নাগাদ কেরোসিনের লম্ফ উলটে পড়ে খড়ের বাড়িটা জ্বলে গিয়েছে।” সামান্য অসাবধানতাবশত এমন এক মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এলাকায়ও শোকের পরিবেশ।