শঙ্কর রায়, রায়গঞ্জ: কাঠুয়া, উন্নাও থেকে সুরাট। শিশুদের ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার বিরাম নেই। এবার স্কুলেরই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। স্কুল ছুটির পর ওই দুই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করা হত বলে জানা গিয়েছে৷
[ অর্ডিন্যান্সে সই রাষ্ট্রপতির, নাবালিকা ধর্ষণে এখন চূড়ান্ত সাজা মৃত্যুদণ্ড ]
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা চেপে রাখতে প্রাণে মারাও হুমকি দিত প্রাথমিক স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষক ব্রজেন দেবশর্মা৷ বাড়িতে জানালে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখানো হত৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ পাশাপাশি নির্যাতিতা ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে৷ এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে। আজ, রবিবার ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
[ কাঠুয়ায় ধর্ষণ হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো দাবি উড়িয়ে বিবৃতি পুলিশের ]
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক দপ্তর সংলগ্ন কর্ণজোড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ব্রজেন দেবশর্মা। ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরেই ওই দুই ছাত্রী বাড়িতে ঘটনার কথা বাড়িতে জানাত৷ কিন্তু বাবা-মা প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি৷ কিন্তু শনিবার নির্যাতিতার ভাইও দিদির উপর অত্যাচারের কথা বলে৷ তার দিদিকে নিয়ে ওই শিক্ষক ক্লাসঘরের দরজা আটকে দিত বলে জানায় সে। এরপরই বাড়ির লোকজন বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়। মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সব কথা খুলে বলে সে। জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ব্রজেন দেবশর্মা স্কুল ছুটির পর ক্লাসরুমের মধ্যেই তার উপর যৌন নির্যাতন করত৷ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়৷