রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে ডুবে মৃত্যু হল দুই পর্যটকের। মৃতরা ভাই-বোন। তাঁদের নাম আলোলিকা চক্রবর্তী (৩০) ও অর্ক চক্রবর্তী (৩২)। তাঁদের বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজারের রিজেন্টপার্কে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা পেশায় সাংবাদিক উদ্দালক ভট্টাচার্য (২৭)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বড়রাংকুয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবারই চারজনের একটি দল মন্দারমণিতে আসে। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁরা স্নানের জন্য সমুদ্রে নেমেছিলেন। আলোলিকা, অর্ক এবং উদ্দালক জলে নামলেও চতুর্থজন অর্থাৎ পৌলমী নামেননি। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এমনিতেই সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সমুদ্রের আবহাওয়াও স্বাভাবিক ছিল না। জলে নেমে তিনজন আচমকাই তলিয়ে যেতে থাকেন। বন্ধুরা বিপদে বুঝতে পেরে ততক্ষণে চেঁচামেচি শুরু করেছেন পৌলমী। তাঁর চিৎকারে সৈকতের ধারে কাছে থাকা নুলিয়ারা ছুটে আসেন। তাঁরাই প্রথমে ডুবতে থাকা উদ্দালককে টেনে তোলেন। ততক্ষণে ঢেউ অনেকটাই নিয়ে গিয়েছে দু’ভাইবোনকে। তাঁদেরও তুলে নিয়ে আসা হয়। ততক্ষণে মন্দারমণি থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। তবে পথেই মৃত্যু হয় আলোলিকা ও অর্কর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উদ্দালক ভট্টাচার্য।
এদিকে মালদহের বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। খবর দেওয়া হয়েছে চিকিৎসাধীন সাংবাদিকের পরিজনদেরও।প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সমুদ্রে তলিয়ে গেলেও প্রায় সঙ্গেসঙ্গে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল। কেননা মন্দারমণি থেকে কাঁথি হাসপাতালের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এতটা রাস্তা আসার পর তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.