চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার প্রথম দিনে কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় থমথমে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের মারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর। এই ঘটনার দশঘণ্টার মধ্যে কাজল শেখ ও সফিক শেখ নামে এখনও পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কংগ্রেস নেতৃWত্বের।
শুক্রবার সন্ধেয় ফুলচাঁদ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে রতনপুর গ্রামে ভোটপ্রচার করছিলেন। অভিযোগ, মাঠের দিকে ঢোকার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যুবকের।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রার সম্পূর্ণ ৪ হাজার কিলোমিটার, আপ্লুত অভিষেক]
নিহতের মায়ের দাবি, দুষ্কৃতীরা ফুলচাঁদকে লক্ষ্য করে পরপর ছ’রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কে বা কারা গুলি চালাল তা নিয়ে এখনও জারি চাপানউতোর। শনিবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। খড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবুল কাশেম জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রেপ্তার করছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রয়োজনে রাস্তা অবরোধ করা হবে। এদিকে, এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।