সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে এক মহিলা পুলিশকর্মীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। শুক্রবার রাতে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান কণিকা দত্ত নামে পুলিশের লাইনের ওই মহিলা কনস্টেবল। ঘটনায় তাঁর স্বামী সঞ্জীব দত্তের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। কণিকাদেবীর স্বামী সঞ্জীব দত্ত পেশায় পুলিশকর্মী।
[সিঁধেল চোররাও হাত পাকিয়েছে সাইবার ক্রাইমে, হয়রান শিল্পাঞ্চলের পুলিশ]
মৃত কণিকা দত্ত দুর্গাপুর পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী সঞ্জীব দত্ত এএসআই। তিনিও পুলিশ লাইনেই চাকরি করেন। দুর্গাপুর শহরের ইস্পাত নগরীতে সন্তানকে নিয়ে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ নভেম্বর রাতে নিজের বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হন কণিকা। স্ত্রীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশকর্মী সঞ্জীব দত্ত। কিন্তু, ওই মহিলা কনস্টেবলকে বাঁচানো যায়নি। ১ ডিসেম্বর রাতে হাসপাতালে মারা যান কণিকা। এরপরই স্বামী সঞ্জীব দত্তের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূহত্যার অভিযোগে দুর্গাপুর থানায় এফআইআর করেন মৃতার দাদা বিমল মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের সময় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা পণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের বছর দেড়েক বাদে ফের পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে সঞ্জীব। কিন্তু, সেই টাকা দিতে পারেননি তাঁরা। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরমে ওঠে। কণিকাদেবীর দাদা দাবি, শ্বশুরবাড়িতে কণিকার কোনও স্বাধীনতা ছিল না। চাকরি করলেও মাইনের পুরো টাকাই স্বামীর হাতে তুলে দিতে হত। স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারও করতো সঞ্জীব। কণিকাদেবীর দাদার অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে ঘর বন্ধ করে কণিকার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয় তাঁর স্বামী। তারপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
[স্বামীকে খুন করতে বন্ধুদের সঙ্গে ছক স্ত্রীর? আইনজীবী খুনে নয়া মোড়]
অভিযোগ পাওয়ার পর, শনিবার রাতে পুলিশ লাইনের এএসআই সঞ্জীব দত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে ১৪ দিনে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত।
[বিয়ের আসরেও সমাজসেবা, অভিনব উদ্যোগ বাংলার দম্পতির]