Advertisement
Advertisement
Kartik Maharaj

কার্তিক মহারাজ সন্ন্যাসীদের ‘কলঙ্ক’, সুবিচারের দাবিতে সরব নির্যাতিতার বাবা-মা

এদিকে, সোমবার হাই কোর্টে কার্তিক মহারাজের মামলার শুনানি।

Victims parents open up against Kartik Maharaj
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 6, 2025 2:54 pm
  • Updated:July 6, 2025 2:54 pm  

কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান স্বামী প্রদীপ্তানন্দজি ওরফে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রবিবার সোশাল মিডিয়ায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। কার্তিক মহারাজকে ‘সন্ন্যাসীদের কলঙ্ক’ বলেই দাবি করেন নির্যাতিতার বাবা।

Advertisement

নির্যাতিতার বাবা ও মা মুর্শিদাবাদের নওদা থানা এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতিতার বাবা একজন বিজেপি নেতা। তিনি এলাকার একাধিক নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। বর্তমানেও তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি, কার্তিক মহারাজের সঙ্গে দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর আগে তাঁদের আলাপ। সেই সময় থেকেই কার্তিক মহারাজ তাঁদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। সেই সূত্রে তাঁর মেয়ের সঙ্গে আলাপ কার্তিক মহারাজের। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কার্তিক মহারাজ মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন করে বলেই অভিযোগ। মেয়ের প্রতি ঘটা অবিচারের বিচার চান নির্যাতিতার বাবা-মা। কার্তিক মহারাজকে রাখা হলে বিজেপির ক্ষতি হবে বলেও দাবি করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের দাবি, কার্তিক মহারাজ সন্ন্যাসীদের কলঙ্ক।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, ২০১৩ সালে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের এক প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয়। স্কুলে থাকার জন্য তাঁকে একটি ঘরও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক রাতে নাকি আচমকাই মহারাজ এসে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বাধ্য হয়ে তা মেনে নেন বলে জানান অভিযোগকারিণী। এরপর দিনের পর দিন মহিলার উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে নবগ্রাম থানায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মহিলা।

১ জুলাই নবগ্রাম থানায় হাজিরার কথা বলা ছিল। তবে হাজিরার বদলে ওইদিন তিনি কলকাতা হাই কোর্টে গিয়ে সেই লিখিত অভিযোগ খারিজের দাবি জানান। এফআইআর খারিজের আবেদন জানাতে গিয়ে বলেন, “ভারত সেবাশ্রম সংঘের একজন মানুষ ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন। একজন মহিলা থানায় গিয়ে ১৩ বছর আগে কিছু হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছেন। পুলিশ নোটিস দিয়ে আমাকে যেতে বলেছে। এটা সাধুসন্তদের উপর আক্রমণ।” বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটি গ্রহণ করে জানান বুধবার শুনানি হবে। সেইমতো বুধ ও বৃহস্পতিবার পরপর দু’দিন শুনানি হয়। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা। তার আগেই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement