রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে পা দিতেই মন্ত্রী ও প্রশাসনের হাত দিয়ে নানা সরকারি পরিষেবা পেলেন প্রান্তিক গ্রামের বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীর যেমন কথা, তেমন কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর দিনই, মঙ্গলবার সহায়তার ঝুলি নিয়ে গ্রামে হাজির হলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। প্রান্তিক মানুষের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের আলিশার দাসপাড়ার প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হল ছাগল, হাঁস ও মুরগির ছানা। আশ্বাস মিলেছে পানীয় জল, ভাল রাস্তা-সহ সরকারি প্রকল্পের বাড়ির।
মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে হুগলির গুড়াপের সভার দিকে রওনা হতেই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রাণিসম্পদ দপ্তর-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে হাজির হন দাসপাড়ায়। পরিবারগুলিকে সহায়তা প্রদান করেন। সোমবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে প্রশানিক সভা সেরে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষরা কেমন আছেন তা দেখতে দাসপাড়ার শম্ভু রুইদাস, ঝরনা রুইদাসদের বাড়িতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই নানা অভাব অভিযোগের কথা শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারগুলিকে স্বনির্ভর করার জন্য স্বপনবাবু ও প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন হাঁস, মুরগি, ছাগল প্রদান করার। ঠিক সেই কথা মত কাজ হল এদিন।
স্বপনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো আমরা এই এলাকার মানুষদের পশু ও হাঁস-মুরগি পালন করার জন্য বিনামূল্যে দিয়ে গেলাম। এই কাজ চলতে থাকবে। তালিকা তৈরি করে আরও কাজ হবে। অনেকের ঘর নেই। আমরা সমীক্ষা করে সব দেখে কাজ হবে।” ওই পাড়ার ১২টি পরিবারকে একটি করে ছাগল, দশটি করে হাঁস, মুরগি দেওয়া হয়। গ্রামের কেউ বাদ যাবে না বলে জানান তিনি। ঝরনা রুইদাস বলেন, “দিদিকে যা যা বলেছিলাম আজ মন্ত্রী এসে সবই করে দেবেন বলেছেন। দিদি আসাতেই এত কিছু পেলাম। আমাদের গোটা পাড়া খুব খুশি।” এই কর্মসূচিতে স্বপনবাবুর সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান-২ ব্লকের বিডিও অদিতি বসু, ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল। পরে আসেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.