শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কখন যে চুপিসারে ঢুকে এসেছে কেউ বলতে পারবে না। বুকের উপর ভর করে ধীরে ধীরে প্রবেশ করেছে ঘরের অন্দরে। তারপর সন্তর্পণে এগিয়ে গিয়েছে নিজের লক্ষ্যের দিকে। চার-চারটি তরতাজা প্রাণ আস্ত গিলে খেয়েছে। এই অতি লোভেই বেধেছে বিপত্তি। ফোলা পেট নিয়ে খাঁচাতেই আটকে গিয়েছে আস্ত গোখরো সাপ। আর এই ঘটনাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। কৌতুহলী ক্যামেরায় উঠে এসেছে এই বিরল দৃশ্য।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির কান্দাপাড়া এলাকার এক গৃহস্থের বাড়িতে। পাশাপাশি দু’টি খাঁচা রাখা ছিল বাড়ির অন্দরে। একটিতে ছিল টিয়া জোড়া, অন্যটিতে চারটি বদ্রি পাখি। রাতের বেলা পাখিদের খাবার দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সকালে উঠে খাঁচা দর্শন করতে এসেই চক্ষূ চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় সকলের। পাখি তো নেই! তার বদলে খাঁচায় আটকে আস্ত এক গোখরো সাপ। কী খেয়ে বিষধরের পেটটি ফুলে ঢোল হয়ে রয়েছে, আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও।
[মেয়ের দাম ২৫ হাজার, ছেলের দাম ১০! পাচারকারীর চিরকুটে চাঞ্চল্য]
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীদের। যথাসময়ে এসে পৌঁছন তাঁরা। উদ্ধার করা হয় গোখরোটিকে। ছেড়ে দেওয়া হয় দূরের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে। জঙ্গলে মুক্তি পেয়েই নিজের সর্পিল চালেই অদৃশ্য হয়ে যান পেটুক বিষধর। এ যাত্রায় তো বরাত জোরে রক্ষে মিলল। আবার খাবারের সন্ধানে সে লোকালয়ে ঢুঁ মারবে কি না, বিষয়ে স্পষ্ট করে হয়তো বলা যাবে না। তবে স্থানীয় পরিবারে সদস্যরা যে অবোধ প্রাণীটিকে ভয় পেয়ে মেরে ফেলেননি এবং তাঁদের যথাসময়ে খবর দিয়েছেন, এতে বেশ খুশি পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের এই সচেতনতাকে সাধুবাদ দিয়েছেন তাঁরা।
[বিজেপি ‘ছায়ায়’ মুকুল? কী জবাব তৃণমূল সাংসদের]