Advertisement
Advertisement

ভেষজ ওষুধ তৈরি লক্ষ্যে ১০০ দিনের কাজে জুড়ল অ্যালোভেরার চাষ

আ্যলোভেরার জুস তৈরির করে ভেষজও ওষুধ তৈরি উদ্যোগ৷

WB Govt mulls production of herbal medicine
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 30, 2018 5:33 pm
  • Updated:June 30, 2018 5:33 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: এবার ১০০ দিনের প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ঘৃতকুমারীর চাষ৷ উৎপাদিত শস্যের জুস তৈরি করে বিক্রির পরিকল্পনা ব্লক প্রশাসনের৷ ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হচ্ছে৷ তথাকথিত আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের ওষুধের বদলে এখন তৎকালীন ও প্রথাগত ভেষজ ওষুধের চাহিদা বাড়ছে৷ সেই চাহিদা বুঝেই সরকারি তরফে ভেষজ চাষ চলছে৷ বিভিন্ন বনৌষধির গাছ লাগানোও হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে৷ সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লাগানো হল ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার গাছ৷ ইসিএলের জমিতে অনুমতি নিয়েই এই গাছ লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

[মদ্যপের সঙ্গে হাতাহাতি-বচসা, বেলুড়ে ছুরির ঘায়ে জখম ১]

একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমেই চলছে গাছ লাগানো কর্মসূচি৷ ব্লকের লাউদোহা ও প্রতাপপুর পঞ্চায়েত এলাকার যথাক্রমে কালীপুর ও বড়গড়িয়ায় এই ভেষজ গাছ লাগানো হয়েছে৷ দুই হাজার আ্যলোভেরা গাছ লাগানো হয়েছে প্রাথমিক পর্বে৷ ব্লকের বাকি চারটি পঞ্চায়েতেই আরও এক হাজার করে চার হাজার গাছ লাগানো হবে বলে ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে৷ ১০০ দিনের প্রকল্পে এই দু’হাজার অ্যালোভেরা গাছ লাগাতে প্রায় দেড় হাজার টাকা ব্যায় করা হয়েছে৷ এই খরচের মধ্যে চারা কেনার খরচ, মজুরি ও অনান্য খরচও ধরা হয়েছে৷ ঠিক বর্ষার মুখে এই গাছগুলি লাগানো হয়েছে৷ যাতে বর্ষার জল পেয়ে গাছগুলি দ্রুত বেড়ে উঠতে পারে৷ স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাই এই গাছগুলি দেখভাল করবে৷ আগামী একবছরের মধ্যেই এই গাছগুলি পূর্ণবয়স্ক হয়ে উঠবে৷ প্রাথমিকভাবে এই গাছ থেকে জুস বা রস তৈরি করা হবে বলেই ঠিক হয়েছে৷

Advertisement

[রাতের অন্ধকারে তৃণমূল পার্টি অফিসে আগুন, চাঞ্চল্য নদিয়ায়]

ভবিষ্যতে যদি ‘ফরোয়ার্ড ট্রেডিং’র সুযোগ থাকে তবে সেই সুবিধাও গ্রহণ করা হবে৷ কোনও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক চাষই হল ‘ফরোয়ার্ড ট্রেডিং’৷ স্বনির্ভর গোষ্ঠীই এই গাছের জুস তৈরি করবে৷ সেই জুস স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে সহযোগিতা করবে ব্লক প্রশাসন৷ ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে এই আ্যলোভেরা প্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে৷ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আ্যালোভেরা থেকে ভেষজও ওষুধ তৈরি করা যায় সেই প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ বর্তমানে পঞ্চায়েতই দেখভাল করবে এই গাছগুলি৷ পরে একহাজার গাছ পিছু একটি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী থাকবে গাছগুলি দেখভাল করার জন্য৷ ভবিষ্যতে ব্লকের ছয়টি পঞ্চায়েতে ছয়টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই কাজ দেখভাল করবে৷ ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতেই যখন এই গাছ চাষ শুরু হবে তখন অত্যন্ত ৬০ জন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হবে৷ বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারির উদ্যোগে খনি এলাকায় বিকল্প চাষের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে নানান ধরনের গাছের চাষ৷ দুর্গাপুর ফরিদপুরের বিডিও শুভ সিনহা রায় বলেন,“গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই ১০০ দিনের প্রকল্পকে হাতিয়ার করে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ভবিষ্যতে খনি অঞ্চলে বিকল্প চাষ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷”

Advertisement

[‘বড়ভাই’ লিচুকে পিছনে ফেলে বিদেশের পথে বাংলার আঁশফল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ