Advertisement
Advertisement

ইংলিশ চ্যানেল জয় করেও নেই স্পনসর, সায়নীর পাশে রাজ্য সরকার

গতবছর ইংলিশ চ্যানেল জয় করে ফিরেছিল সায়নী।

WB Govt to help swimmer Sayani Das
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 20, 2018 9:24 pm
  • Updated:December 20, 2018 9:35 pm

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনাঃ ইংলিশ চ্যানেল জয়ের সাফল্যের পরেও পরবর্তী অভিযানের জন্য স্পনসর পাচ্ছেন না সায়নী দাস । তাই এবার অ্যামেরিকার ক্যাটালিনা চ্যানেল জয় করার স্বপ্ন এখন অথৈ জলে। আর্থিক সংকটে পড়েছে সায়নীর পরিবার । এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের ভরসাতেই প্রস্তুতি শুরু করেছে সায়নী। আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্যাটালিনার জলে নামার অনুমতিও এসে গিয়েছে । কিন্তু জোগাড় হয়নি প্রয়োজনীয় টাকা । তাই যাতায়াতের টিকিট বুকিং থেকে আমেরিকার ভিসা পাওয়া সব কিছুই নিয়েই চিন্তায় পড়েছে তাঁরা। যদিও রাজ্য সরকারের ক্রীড়াদপ্তর-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে সায়নীর বাবা । তারপরে ক্রীড়াদপ্তর সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।

[প্রথম বাঙালি হিসেবে রটনেস্ট চ্যানেল পার হয়ে ইতিহাস সায়নীর]

এই সমস্ত কিছু বাধা কাটিয়ে উঠতে পারলেই আগামী ২০১৯ বছরের ৭ জুন রাত ১১:৩০ মিনিট নাগাদ আমেরিকার ক্যাটালিনা চ্যানেলে জয় করার লক্ষ্যে জলে নামবে সায়নী। যা তাঁর আগামী স্বপ্নপূরণের লক্ষ্য। স্থানীয় পুকুরে অনুশীলন করেই ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল জয় করে ফিরেছিল সায়নী। সেই সময় সায়নীর অভিযানে যাওয়ার খরচ জোগাড় করতে বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছিল তাঁর পরিবারকে। চরম আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে উঠে রাজ্যবাসীকে চমকে দিয়েছিল কালনার বারুইপাড়ার একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। রাজ্য থেকে জেলা, নানাস্তরে প্রশংসাও পেয়েছিল ।
তারপরে ২০১৮ এর শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার রটনেস্ট চ্যানেল জয় করে সায়নী । তারপরেই এই ক্যাটালিনা চ্যানেল জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু।

Advertisement

[ইংলিশ চ্যানেল পার করে বাংলার মুকুটে গর্বের পালক সায়নীর]

সায়নীর কোচ তথা তাঁর বাবা রাধেশ্যাম দাস বলেন, “সায়নী এখন থেকেই স্থানীয় পুকুরে ও ভাগীরথীতে কয়েকঘণ্টা ধরে অনুশীলন করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই আর্থিক খরচ জোগাড় হয়নি। প্রায় ৭ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কোনও স্পনসরও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগের মতো ফের বাড়ি বন্ধক দিতে হবে কিনা আমরা বুঝতে পারছি না।” একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন সায়নীর বাবা। তার পক্ষে এত খরচ করা সহজ নয়। তাই রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের এই আবেদন। যেই আবেদনে সাড়াও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে । রাজ্য ক্রীড়াদপ্তরের পক্ষ থেকে সেই অভিযানে যাওয়ার খরচও জানতে চাওয়া হয়েছে সায়নীর বাবার কাছে। কিন্তু স্পনসর পেলে তা খুবই সুবিধা হত। সায়নী জানায়, “রাতের বেলা ক্যাটালিনার জলে নেমে প্রায় ৩২ কিমি জলে সাঁতার কাটতে হবে। এখানে সার্কের আক্রমণও আছে। এই সব বাধা কেটে গেলে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ