সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে হস্তক্ষেপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তলব করেন ভাঙড়ের বেশ কয়েকজন নেতাকে। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে পাওয়ারগ্রিডের জটিলতা কাটাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন ভাঙড়ে দলের নেতাদের একসঙ্গে চলতে হবে।
[বনধের ধাক্কা সামলে পাহাড়ে পর্যটক টানতে নয়া তিন রিসর্ট]
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের যে জমিতে খুঁটি বসানো হবে সেই জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। পাশাপাশি বিদ্যুতের তার যে জমির উপর দিয়ে যাওয়ার কথা তারাও পাবেন অর্থ সাহায্য। নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি ভাঙড় ঘিরে উন্নয়নের একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস আগে ভাঙড়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা না চাইলে পাওয়ার গ্রিড হবে না। তারপরও কীভাবে আন্দোলন মাথাচড়া দিল তাতে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। এই নিয়ে নবান্নে তলব করা হয় স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদকে। বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। দুদফায় বৈঠকের পর দলীয় নেতাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন কোনওরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। কোনওরকম কাজের ঘাটতি থাকলে প্রশাসন তা বুঝবে। দলের সবাইকে একসঙ্গে পথে নামতে হবে। এজন্য শনিবার তৃণমূল ভাঙড়ে মিছিল করবে। কাশীপুর থেকে অনন্তপুর পর্যন্ত হবে মিছিল। পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীদের নিয়ে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
[উলুবেড়িয়া, নোয়াপড়ায় প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূল ও বামফ্রন্টের]
শুক্রবার গঙ্গাসাগর থেকে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের কাছে তা জানতে চান। তার জট কাটাতে এদিন তিনি বৈঠক ডাকেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নিলেও ভাঙড়ের পরিস্থিতি এদিনও থমথমে। তবে রাজ্যের প্রস্তাবে সাড়া দিতে নারাজ ভাঙড়ের আন্দোলনকারীরা। তাদের বক্তব্য ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে তাদের এই আন্দোলন নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.