Advertisement
Advertisement
শহিদ মিনার

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে বর্ধমানে শহিদ মিনার গড়ার প্রস্তাব মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের

জেলার সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনগাথা নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশের প্রস্তাবও দেন তিনি।

WB Minister proposes for Shahid Minar at Purba Bardhaman
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 11, 2019 7:20 pm
  • Updated:August 11, 2019 9:16 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ১১ আগস্ট। ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়েছিল এই দিনেই। আর সেই দিনটাকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ। জেলার সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনগাথা নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশ ও শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বর্ধমানে শহিদ মিনার গড়ার প্রস্তাব দিলেন জেলা পরিষদকে। তাতে সায় দিয়েছে জেলা পরিষদের পদাধিকারীরাও। ইতিমধ্যে শহিদ মিনার গড়ার জন্য জায়গা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে জেলা পরিষদ।

রবিবার সকালে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের হেমাতপুর মোড়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পরে বর্ধমান জেলা তৃণমূল কার্যালয়েও শহিদ স্মরণের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও ছিলেন স্বপনবাবু। পরে জেলা পরিষদের অঙ্গীকার হলে একটি সেমিনারেও অংশ নেন তিনি। স্বপনবাবু জানান, সাবেক বর্ধমান তথা অধুনা পূর্ব বর্ধমান জেলায় বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ফকির রায়, ভক্ত রায়, দাশরথী তা, রাসবিহারী বসু, রাসবিহারী ঘোষ, বটুকেশ্বর দত্তর মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী এই জেলার সন্তান। তাঁদের সকলের সম্বন্ধে বিশিষ্টদের নিয়ে প্রতিবেদন লিখিয়ে তা পুস্তিকা আকারে প্রকাশের জন্য জেলা পরিষদকে প্রস্তাব দেন স্বপনবাবু। তিনি বলেন, “পুস্তিকার প্রতি পাতায় একজনকে স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি-সহ প্রতিবেদন থাকবে। জেলা পরিষদকে এই পুস্তিকা প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। তারা সম্মত হয়েছে।”

Advertisement

একইসঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা আত্মবিলদান দিয়েছেন তাঁদের স্মৃতিতে বর্ধমান শহরে শহিদ মিনার গড়ারও প্রস্তাব দেন স্বপনবাবু। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সেই সব মহান ব্যক্তিত্বর কথা তুলে ধরা, তাঁদের আত্মবলিদানের কথা প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্যই এই উদ্যোগ।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া এই প্রসঙ্গে বলেন, “শহিদ মিনার গড়ার জন্য মন্ত্রী প্রস্তাব দেওয়ার পরই জায়গা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। ভাল জায়গা দেখে শহিদ মিনার গড়া হবে। পাশাপাশি জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে পুস্তিকাতে প্রকাশ করা হবে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ