Advertisement
Advertisement

লড়াইয়ের আগেই বিপাকে, কাঁকসায় বিরোধিতার ইস্যু খুঁজতেই হিমশিম বাম-বিজেপি

লালদুর্গ কাঁকসায় এখন বেহাল বামেরা৷

WB Panchayat Poll: opposition short of barbs to counter govt
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 30, 2018 8:57 pm
  • Updated:August 24, 2018 5:16 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর:  ভোটে লড়াইয়ের জন্যে যুক্তিগ্রাহ্য ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধীরা৷ তাই বিরোধিতার কারণ খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের৷ কাঁকসায় বিরোধীরা বিশেষ করে সিপিএমের অবস্থান অনান্যদের থেকে ভাল৷ রাজ্য জুড়ে অশান্তির মাঝেও এবারও তারা কাঁকসায় পর্যাপ্ত মনোনয়ননেও সক্ষম হয়েছে৷ কিন্তু বিরোধিতার ইস্যু খুঁজতে গিয়ে প্রকারন্তরে এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে এটা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে বামেরা৷

[  মথুরাপুরে ছুরিকাঘাতে খুন তৃণমূল কর্মী, অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি সমর্থক ]

Advertisement

একদা লালদুর্গ কাঁকসায় এই বেহাল দশা ছিল না বামেদের৷ আদিবাসী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের প্রভাব ছিল সীমাহীন৷ রাজ্য জুড়ে ঘাসফুলের দাপটের মাঝে গত পঞ্চায়েতেও কাঁকসার সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে দুটি তাদের দখলে আসে৷ একটি পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বামেরা সমান আসন পায়৷ ব্যবধান মাত্র পাঁচ বছরের৷ তাতেই বিদবিহার পঞ্চায়েতে গতবার ক্ষমতায় থাকা বাম দল এবার একটিও সংসদে প্রার্থী দিতেই পারেনি৷ আদিবাসী এলাকাতেও বামেদের বিচ্যুতি ঘটেছে তা এই ব্যর্থতাতেই প্রমাণ৷ বর্তমানে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী এবারও আসরে বামেরা৷ কিন্তু বাস্তবসম্মত ইস্যু নেই৷ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান এখনও না হলেও সেটাকেও ইস্যু করতে পারছে না বাম বা বিজেপি৷ কাঁকসার গোপালপুর, মলানদিঘি ও ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু নতুন আদিবাসী পাড়ায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি৷ গোপালপুর এলাকা লাগোয়া অঞ্চলে পানীয় জলের সংকট অব্যাহত৷ ভূর্গভস্থ জলস্তর নিচে থাকার কারণে এখনও পানীয় জলের অভাব আছে এই সমস্ত অঞ্চলে৷ পাঁচটি সাবমার্সিবাল পাম্প বসিয়ে ওভারহেড ট্যাঙ্কে জল তুলে কয়েকটি জায়গায় সমস্যার মোকাবিলা করা গেলেও অধিকাংশ এলাকাতে এখনও পাওয়া য়ায় না পরিশ্রূত পানীয় জল৷ বেশ কিছু গ্রামীণ বা পাড়ার রাস্তা এখনও পাকা করা যায়নি কাঁকসা ব্লকে৷ এই সমস্ত সমস্যা এখনও জিইয়ে থাকলেও অধিকাংশ সমস্যাই মিটেছে৷ কিন্তু প্রচারের আলোয় এই সমস্যাগুলি আনতেও দ্বিধায় বিরোধীরা৷

Advertisement

মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বিজেপি প্রার্থীর অন্তঃসত্ত্বা জাকে ধর্ষণের অভিযোগ ]

বামেদের পক্ষ থেতে রাজ্যের সার্বিক অবক্ষয় নিয়ে এবারের পঞ্চায়েতে ইস্যু করলেও কাঁকসা এলাকার সমস্যা নিয়ে তারা খুব একটা ওয়াকিবহাল নয়৷ সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কাঁকসার প্রবীণ সিপিএম নেতা বীরেশ্বর মন্ডল জানান,“একশো দিনের কাজে লুটপাট হয়েছে শাসকদলের মদতে৷ মজুররা মজুরি পায়নি৷ এখনও বকেয়া রয়েছে৷ বেআইনিভাবে মজুরিও তোল হয়েছে৷ কাঁচা রাস্তা ঢালাইয়ের নামে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে৷ ঢালাই রাস্তার উপর জোর দিয়েছিল পঞ্চায়েত৷ কারণ তাতে নির্মাণ সামগ্রী সরবারহ-সহ ভাল পরিমাণে কাটমানি থাকে শাসকদলের৷ তাই উন্নয়ন বলতে ঢালাই রাস্তা হয়েছে প্রচুর কাঁকসা ব্লকে৷” সিপিএমের এই কটাক্ষকে জনসংযোগের অভাব বলে পালটা তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ জনসংযোগের অভাবের কারণেই তারা এবার ইস্যু ছাড়াই ভোটে লড়ছে বলে দাবি তাদের৷ তৃণমূলের কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহকারি সভাপতি চিন্ময় মন্ডল জানান, “এলাকায় এতটাই ক্ষয়িষ্ণু, জনপ্রিয়তা এতটাই কমেছে তাদের যে এলাকার বা ব্যক্তিগত সমস্যায় আর ওদের কাছে কেউ যায় না৷ তাই এলাকার প্রকৃত সমস্যাও তারা জানতে পারে না৷ তাই ইস্যুভিত্তিক সমালোচনা না করে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে তারা৷ এলাকায় যে সমস্যা আছে তার সমাধান করবে নতুন বোর্ড৷” কাঁকসা ব্লকে প্রার্থীর নিরিখে বিজেপির অবস্থান দ্বিতীয়৷ কিন্তু তারাও স্থানীয় সমস্যা ছেড়ে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েই ইস্যু করতে চলেছে কাঁকসা ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে৷ তাদেরও সাংগঠনিক দুর্বলতাই এর কারণ বলে দাবি শাসকদলের৷

[  বিজেপিকে ঠেকাতে দরকারে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাব: গৌতম দেব ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ