Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোটে নেই আরাবুল, অশান্ত ভাঙড়ে কেমন হল গণতন্ত্রের উৎসব?

সকাল থেকেই থমথমে ছিল ভাঙড়।

WB panchayat polls: Arabul Islam goons terrorize Bhangar
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 14, 2018 5:12 pm
  • Updated:May 14, 2018 5:12 pm

কৃষ্ণকুমার দাসঃ মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যে সাংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি, জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমের নজরে ছিল ভাঙড়ের দিকে। এই আটটি বুথ ও একটি পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে জমি-জীবিকা রক্ষা কমিটির প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই ভাঙড়ের পোলের হাট ২ নম্বর এলাকায় আরাবুল বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জমি রক্ষা কমিটির। মাছিডাঙায় বুথ দখলেরও অভিযোগ ওঠে আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে। এছাড়া আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, উত্তর গাজিপুপর, দক্ষিণ গাজিপুর ও অনন্তপুরে উত্তেজনা ছড়ানোর। সর্বক্ষেত্রেই বেহুঁশ পুলিশ-প্রশাসন অভিযোগ বিরোধীদের।

[পঞ্চায়েতে নজর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, দিলীপকে ফোন রাজনাথের]

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই সংবাদ শিরোনামে ছিল ভাঙড়। জমি জীবিকা রক্ষা কমিটির এক সদস্যকে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দিকে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরাবুল ইসলামকে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাতটায় ভোট পর্বের শুরু থেকেই আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভাঙড়। আরাবুল বাহিনীর সঙ্গে জমি জীবিকা রক্ষা কমিটির সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ের পোলের হাট ২ অঞ্চলে। এছাড়া মাছিভাঙ্গায় বুথ দখলের অভিযোগ ওঠে আরাবুলের ভাই খুদে ও ছেলে হাকিমুলের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গুন্ডাবাহিনী নিয়ে ৮৯, ৯০, ১০০ ও ১০২ নম্বর বুথ দখল করে ব্যাপক বোমাবাজি চালাচ্ছে তারা। সকাল থেকেই ভাঙড়ের পরিবেশ ছিল থমথমে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিটি গাড়িতেও চলেছে তল্লাশি। তবে যে আটটি বুথে ভোট হয়েছে সেখানে বেলা পর্যন্ত সিংহভাগ আসনে প্রভাব রেখেছিল জমি, জীবিকা বাঁচাও রক্ষা কমিটি। অন্যদিকে উত্তর গাজীপুর, দক্ষিণ গাজিপুর ও অনন্তপুরে প্রভাব দেখিয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

[১০০ পেরিয়েও খামতি নেই উৎসাহে, নাতবউয়ের কাঁধে ভর দিয়ে ভোট দিলেন বৃদ্ধা]

কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় ভোটগ্রহণ। রাস্তা আটকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে জমি রক্ষা কমিটির লোকেরা। ঘটনা সামাল দিতে এলাকায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী, চলে পুলিশি টহল। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী পৌঁছায় আইপিএস রূপেশ কুমারের নেতৃত্বে। কিন্তু ওই পাঁচটি বুথে বাহিনী আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হতে হয় জেলা পুলিশকে। জমি জীবিকা বাঁচাও রক্ষা কমিটির সদস্য আলম মোল্লা জানিয়েছেন, গাড়ি নিয়ে আরাবুল বাহিনী যাতে কোনওভাবেই না এলাকায় ঢুকতে পারে তারজন্যই প্রত্যেকটি গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ