শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: উলটপুরাণ! ভোটে জেতার জন্য নয়, বরং প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য দলের কর্মীদের সংবর্ধনা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার তাঁদের হাতে মানপত্র, স্মারক ও ফুলে তোড়া তুলে দিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়, ব্লক সভাপতি লক্ষমোহন রায়। শাসকদলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩৮টি অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ১২৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ১২ জন স্বেচ্ছায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন দলীয় প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীদের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন তাঁরা।’
[বিজেপির হয়ে লড়াই ছেলের, হাঁড়ি আলাদা করলেন তৃণমূল প্রার্থী বাবা]
জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোটে বিক্ষুদ্ধদের জেরে নাজেহাল শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব। দলের প্রতীক না পেয়ে অনেক আসনেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন জায়গা পৌঁছয়, যে নির্দল প্রার্থীদের নিরস্ত করতে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। সোমবার দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন, তাঁদের সংবর্ধনা দিল রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। দলের ১৫ জন কর্মীকে মানপত্র, স্মারক ও ফুলের তোড়া দিলেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়, ব্লক সভাপতি লক্ষমোহন রায়। শাসকদলের নেতা তপন দে বলেন, ‘দলের প্রতি আনুগত্য দেখিতে যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন, তাঁদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা খুশি।’ ওই তৃণমূল নেতার দাবি, ‘দলই তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে বলেছিলেন। এখন আবার দলের নির্দেশেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাঁরা ‘ সকলকেই সংবর্ধনা দিয়ে সম্মানিত করল তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩৮টি অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ১২৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ১২ জন স্বেচ্ছায় লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন দলীয় প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন তাঁরা।’
ছবি: সুবীর এস
[লড়াইয়ের আগেই বিপাকে, কাঁকসায় বিরোধিতার ইস্যু খুঁজতেই হিমশিম বাম-বিজেপি]