সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবজাতক একেবারে ফুটফুটে। তবে চোখ যে জায়গায় নেই। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে যেন যমজ চোখ! জিভ কোনওরকমে ঝুলছে। মুখটা হনুমানের মতো। এমন আশ্চর্যরকমের ছাগলছানা ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের কাঁকপুল এলাকায় শোরগোল। আজব ছাগল দর্শনের জন্য গ্রামে যেন মেলা বসেছে।
[এখনও অধরা বাঘ, নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের ধেড়ুয়ায়]
অশোকনগরে কাঁকপুল এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া দাস। ওই মহিলার পোষা ছাগল রবিবার দুটি বাচ্চার জন্ম দেয়। যার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু অন্যটি দেখতে একেবারেই অদ্ভুত। চোখের জায়গায় তা নেই। চোখ রয়েছে একেবারে কপালে। ছাগলছানার রূপ দেখে আক্ষরিক অর্থে প্রতিবেশীদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কপালে একটা বৃত্তের মধ্যে চোখ শেষ পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়। এক ঝলকে দেখলে মনে হতে পারে যমজ চোখ। আর পাঁচটা ছাগলের মতো এর মুখ লম্বাটে নয়। আদল হনুমানের মতো। এমনকী জিভের অবস্থানও অন্যরকম। সাধারণত সোজা জিভ থাকার কথা কিন্তু এই অদ্ভুত ছাগছানার প্রায় ৬-৭ ইঞ্চি জিভ মুখের বাঁ দিক থেকে বেড়িয়ে পড়েছে। জিভের এমন অবস্থার সময় ছোট্ট শিশুটি জন্মানোর পর থেকেই খেতে পারছিল না। এমনকী তার দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে। দুগ্ধপোষ্যর এমন অবস্থা দেখে পাপিয়া দেবীর ছেলে ও বউমা ফিডার দিয়ে বোতলে করে দুধ খাওয়ার ব্যবস্থা করে।
[ফোর জি-র যুগেও মোবাইলহীন গোটা গ্রাম! এখনও বার্তা দিতে হয় সশরীরে]
এই অদ্ভুত ছাগল ছানা জন্মানোর পর থেকেই ওই মহিলা যেন এলাকায় ‘সেলিব্রেটি’ হয়ে গিয়েছেন। তাঁর পোষ্য ছাগল ছানা দেখতে হামলে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনকী আশেপাশের গ্রাম থেকেও লোকজন আসছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছাগলের ছবি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। অশোকনগরের কাঁকপুল এলাকায় যেন মেলা বসেছে। ছাগলটির এমন শারীরিক অবস্থার নিয়ে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের ব্যাখ্যা, এধরনের শারীরিক বিকৃতি মানুষের হয়। পশু বা উদ্ভিদের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে। যা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি সম্পূর্ণ জিনঘটিত ত্রুটির বিষয়। এই ঘটনার জেরে কোনও কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাসের যাতে কেউ বশবর্তী না হয় তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তারা। হুজুগে মানুষের অবশ্য এসব কানে দেওয়ার ইচ্ছে নেই। তারা এখন অদ্ভুত ছাগ শিশুর সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত।
[১৪ বছরের কর্মজীবনে একদিনও ছুটি না নিয়ে নজির শিক্ষাকর্মীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.