Advertisement
Advertisement

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় দুই বাংলার মেলবন্ধনের প্রস্তুতি শুরু: পার্থ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাইছে৷

West Bengal and Bangladesh to join hands on higher education and research
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 24, 2016 9:29 am
  • Updated:July 25, 2022 12:51 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: এবার কলকাতায় বসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক ওপার বাংলার বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নানা পাঠক্রম, পড়াশোনা ও গবেষণায় অংশ নেওয়া যাবে৷ কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাইছে৷ রবিবার বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকা সফররত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন৷

বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি একাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও পদ্মাপারের শিক্ষাক্রম জুড়ে দিতে আগ্রহী৷ বাংলাদেশের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু ঢাকায় রবিবার জানিয়েছেন, “দুই বাংলার পড়ুয়াদের নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার এই প্রস্তাবটি যথেষ্ট ইতিবাচক ও আকর্ষণীয়৷ গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক ও ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস মারফত চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷”

Advertisement

আওয়ামি লিগের জাতীয় সম্মেলনে ঢাকায় দু’দিনের সফরে এসে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট সাংসদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী৷ সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে দুই বাংলার সামাজিক মেলবন্ধন ও আত্মার টানের কথা উল্লেখ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি৷ এদিন সম্মেলনে আওয়ামি লিগের সভানেত্রী হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা৷ সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ওবায়েদুল কাদের৷

Advertisement

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন৷ এদিন দুপুরে সেখানে গিয়ে মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী অভয়ানন্দর সঙ্গে দেখা করেন এবং দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তিনি৷ মিশনে ভোগ খাওয়ার পাশাপাশি নানা কাজকর্মও ঘুরে দেখেন তিনি৷ রামকৃষ্ণ মিশন থেকে তিনি সোজা চলে যান ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরে৷ মন্দিরে পুজো দিয়ে পৌঁছন ‘বাংলাদেশের উত্তমকুমার’ নামে খ্যাত ‘নায়করাজ’ রাজ্জাকের বাড়িতে৷ সেখানে পান উষ্ণ অভ্যর্থনা৷ ছাত্র জীবনে তিনি যে রাজ্জাক-ববিতা, রাজ্জাক-শাবানা জুটির একাধিক ছবি দেখেছিলেন আলোচনায় উঠে আসে সে কথাও৷ অভিনেতার দুই পুত্র ও পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ দুই বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি নিয়ে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব৷

এদিন তাঁর সঙ্গে সোনার গাঁ হোটেলে দেখা করতে এসেছিলেন ঢাকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা৷ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নানা সামাজিক পরিস্থিতি পার্থবাবুকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত৷ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুর আন্দোলন ও সাম্প্রতিক সাফল্য বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছে৷ সে ব্যাপারে পার্থবাবুকে কিছু বলার জন্য সাক্ষাৎকারের আলাদা সময় চেয়ে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল৷ কিন্তু হাতে খুব কম সময় থাকায় ও ব্যস্ত সফরসূচির কারণে সময় দিয়ে উঠতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী৷ তবে পার্থবাবু জানিয়েছেন,  বাংলাদেশের আতিথেয়তা, আন্তরিকতা ও অভ্যর্থনায় রীতিমতো মুগ্ধ পার্থবাবু৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ