সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: যাবতীয় বন্দোবস্ত সারা। বাঙালি গৃহস্থের বাড়িতে জামাইকে আপ্যায়ণের পর্ব শুরু। আর তা করতে গিয়ে জিনিসপত্রের দামে কার্যত হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। মাছ, মাংসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাকসবজির দামও। বছরের এই দিনটিতে জামাই বাবাজীবনকে তুষ্ট করতে তাই কাহিল অবস্থা শ্বশুর-শাশুড়ির। শুধু শিলিগুড়ি নয়, রাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাজারগুলিতে ছবিটা একই।
ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি, ভাল আমের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৭০ টাকা কেজিতে। চিংড়িও ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। পাঁঠার মাংস ৬৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগীর মাংসও ১৮০ টাকা কেজি ছাড়িয়েছে। শিলিগুড়ির সুভাষপল্লী, বিধানমার্কেট, হায়দারপাড়া, ফুলেশ্বরী বাজারে এক কেজি দরের ইলিশের দাম ১২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ইলিশ ছাড়া চিতল, আর বা বোয়াল মাছেরও চাহিদা তুঙ্গে। সে সবের দামও ঘোরা ফেরা করছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। মাছ মাংসের পাশাপাশি ফল সবজির দামও আগুন। আপেল থেকে লিচু, এমনকী পাকা কাঁঠালও বিকোচ্ছে চড়া দামে।
[মোবাইল সারানোর ছলে ব্যাংক থেকে টাকা গায়েব করে গ্রেপ্তার ৭]
সুভাষপল্লী বাজারে জামাইষষ্ঠীর বাজার করতে এসে মনোতোষ বসাক বলেন, “ষষ্ঠীর বাজার বরাবরই এমন চড়া। বাড়ির ফরমায়েশ মতো বাজার না করে উপায় নেই। তাই দাম যাই হোক কিনতে হচ্ছে সবই।” মাছ ব্যবসায়ী নন্দু সাহা বলেন, “বছরের এই দিনটিতে স্বাভাবিকভাবেই দাম একটু বেশি থাকে। ব্যবসায়ীদেরও বেশি দামেই আড়ত থেকে মাছ কিনে আনতে হয়।”
সোমবার দিনভরই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাজারগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ভিড় দেখা গিয়েছে মিষ্টির দোকানগুলিতেও। জামাই আদর করতে বিভিন্ন বাহারি মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে। হট কেকের মতো বিক্রি হয়েছে দই, আইসক্রিমও। তবে যারা বাড়িতে রান্নার হ্যাপা নিতে নারাজ, তারা অনেকেই হোটেলে জামাইষষ্ঠী স্পেশ্যাল খাবার বুক করে ফেলেছেন। সেজেগুজে দুপুরে সঠিক সময়ে শুধু পৌঁছে যাওয়ার অপেক্ষা। আবার অনেকে হোটেল থেকে রান্না করা খাবার আনিয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে।
ছবি: প্রতিদিন চিত্র
[কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ যুব তৃণমূল কর্মীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.