সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে ফের হামলার মুখে কংগ্রেস। হামলায় আক্রান্ত কংগ্রেস বিধায়িকা ফিরোজা বেগম। সকালে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন কংগ্রেস প্রার্থী-সহ বেশকিছু কর্মী সমর্থক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন রানিনগরের বিধায়িকা ফিরোজা বেগম। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলার প্রতিবাদে পথে বসে পড়ে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।
[ভোট হিংসার নয়া নজির, একে অপরের দিকে অ্যাসিড ছুড়ল তৃণমূল-বিজেপি]
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে একের পর এক হামলার শিকার কংগ্রেস প্রার্থীরা। যেন হামলার পরম্পরা চলছে। সোমবার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেয়েছিলেন বেলডাঙার কংগ্রেস বিধায়ক। পুলিশের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা এই হামলা চালায়। যদিও চোখের সামনে হামলা চললেও না দেখার ভান করেছিল পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ ছিল আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের। মনোনয়নে বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক সফিউর রহমান। অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের সামনেই তাঁকে হেনস্তা করে। দেখেও দেখেনি পুলিশ। যদিও তৃণমূলের তরফে হেনস্তার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধস্তাধস্তি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন পত্রও জমা দিতে পারেননি।
[এককাট্টা একান্নবর্তী পরিবারের ভাঙন ডাকল পঞ্চায়েত ভোট! ব্যাপারটা কী?]
একই দিনে জঙ্গিপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি এসএউসিআইয়ের প্রার্থীরা। মনোনয়নে ব্যর্থ হয়ে লাগোয়া রঘুনাথগঞ্জ-লালগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় এসইউসিআই কর্মী সমর্থকরা। সোমবার এসডিও অফিসের ধারেকাছে আসতে পারেনি বিরোধীরা। অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃণমূলের তরফে বাধা দেওয়া হয়। এসইউসিআইয়ের ৫১ জন সদস্য ভিতরে ঢুকে ডিসিআর কাটার পর মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি। পুলিশের এই আচরণে ক্ষুব্ধ সদস্যরা মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে দাদা ঠাকুরের মূর্তির পাদদেশে মনোনয়নপত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর রঘুনাথগঞ্জ-লালগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। ওই দিন মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে বহরমপুর বিডিও অফিসের সামনে। তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিডিও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয় ব়্যাফ।