Advertisement
Advertisement

রমজানের আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, এপ্রিলের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা

ভোট হতে পারে তিন দফায়।

West Bengal panchayat polls likely to be held in May
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 29, 2018 4:09 pm
  • Updated:July 15, 2019 2:44 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রমজানের আগেই পঞ্চায়েত ভোট সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্যের সরকার। জানা গিয়েছে, মে মাসে ভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য। ১৬ মে-র মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ভোট হতে পারে তিন দফায়। কমিশন যদি রাজ্যের প্রস্তাবে রাজি হয়, তাহলে এপ্রিল শুরুতেই পঞ্চায়েত ভোটে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়ে যাবে। এদিকে আবার অশান্তি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এনে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুলেছে বিরোধীরা। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ রাজ্য। পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সর্বদল বৈঠক করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সি, তাপস রায়, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের ঋজু ঘোষাল ও বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার।

[বাংলার পর উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরাজি প্রশ্নপত্রও ফাঁস হোয়্যাটসঅ্যাপে]

Advertisement

এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট করে হবে? গত কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে মে মাসের শুরুতে ভোট করানোর আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতেই কার্যত সিলমোহর পড়ল। রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কমিশন সরকারিভাবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঠিক করে দিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতিও তুঙ্গে। জোরকদমে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। খাদ্য, শিক্ষা আর উন্নত সরকারি পরিষেবা। মূলত এই তিন মন্ত্র নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের শীর্ষ স্তরের প্রাথমিক নির্দেশ,  তৃণমূল জমানায় গত ৭ বছরে উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে লাগাতার প্রচার করতে হবে। শুধুমাত্র তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই চলবে প্রচারাভিযান।

Advertisement

[পরিবারের ইচ্ছা, কোয়েম্বাটোরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসানসোলের জখম ডিসিকে]

২০১৩-তেও হয়নি। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও রাজ্যস্তরে আলাদা করে ইস্তেহার প্রকাশ করার পরিকল্পনা নেই তৃণমূলের। জেলায় জেলায় স্থানীয় দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে তৈরি হবে ইস্তেহার। ২০১৩ সালে যখন রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল, তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেবার বিধানসভা ভোটের ফলের প্রভাব পড়েছিল পঞ্চায়েত ভোটে। শাসকদলের জয়ের ধারা অব্যাহত ছিল গ্রাম বাংলায়। কিন্তু এবার পঞ্চায়েত স্তরে কাজের নিরিখে মানুষ ভোট দেবেন। শুধু তাই নয়, প্রায় ৭ বছর ধরে রাজ্যেও ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, পুরশ্রীর মতো প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীরই মস্তিষ্কপ্রসূত। সেই প্রকল্পের সুফল মানুষের পৌঁছেও দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, উন্নয়ন, উন্নয়ন আর উন্নয়ন। এটাই পঞ্চায়েতে জয়ের মূল মন্ত্র।

[সেঞ্চুরি পার করেও নট আউট বীরভূমের তাঁতিপাড়ার বিখ্যাত জিলিপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ