সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনেও রাজ্য জুড়ে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ অব্যাহত। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে মনোনয়ন জমা দিতে আসা ভিড়ের মধ্যে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ দুই এসআই পদমর্যাদার পুলিশকর্মী। তাঁদের ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
[কমিশনের দাবি খারিজ, পঞ্চায়েত ভোটে প্রতি ব্লকে পর্যবেক্ষক দিল না রাজ্য]
আহত দুই পুলিশকর্মীর নাম রফিকুল জামাল ও পীযূষকান্তি মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মগরাহাটের ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া চলছিল। উপস্থিত ছিলেন শাসক-বিরোধী দুই দলেরই নেতা-কর্মীরা। দু’পক্ষের সমর্থকরাই মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। উত্তেজনা ছিল যথেষ্ট। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছিল। সে সময় আচমকাই ভিড়ের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুই এসআই। উস্তি থানার এসআই রফিক জামালের বাঁ হাতে গুলি লাগে। গুলি লাগে পীযূষকান্তি মণ্ডলের গায়েও। তাঁদের ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। এসপির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এই মুহূর্তে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে বিডিও অফিসে। একমাত্র প্রার্থী ছাড়া আর কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশবাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটে গুলি-বোমা চলার নজির এদিনই প্রথম নয়। মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার দিন থেকে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে হিংসার খবর আসছে। তবে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর মতো ঘটনা নজিরবিহীন। কে বা কারা এদিন গুলি চালাল, তা এখনও জানা না গেলেও অভিযোগের তির বহিরাগত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি থেকে বহিরাগতদের ঢোকাচ্ছে বিজেপি। পালটা বিজেপির অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জেলায় জেলায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
[মহম্মদবাজার কাণ্ডের জেরে সরিয়ে দেওয়া হল থানার ওসিকে]
ছবি- বিশ্বজিৎ নস্কর