স্টাফ রিপোর্টার, মেদিনীপুর: ক্রমশ জটিল হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য। নির্ধারিত দিনে আদৌ কি ভোটগ্রহণ হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই যাবতীয় দায়ভার হাই কোর্টের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এবার যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে হাই কোর্টই। তবে এরই মধ্যে প্রচারে খামতি নেই কোনও দলের। যখনই হোক, পঞ্চায়েত ভোট তো হবেই। তাই বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’ ছাড়তে নারাজ। শাসক-বিরোধীদের তরজা তাই চলছেই। এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে পানীয় জল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গঙ্গাধরপুর বাসিন্দারা।
[শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে ধর্মতলায় অনশনে কংগ্রেস, মিছিলে বামেরা]
প্রায় ষাট থেকে সত্তরটি পরিবার বাস করে ওই এলাকায়। পাম্পের মাধ্যমে জল তোলা হয় সেখানে। অভিযোগ, আগে গ্রামের বাসিন্দারা তৃণমূলেরই সমর্থক ছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বেশিরভাগ বাসিন্দা বিজেপির পক্ষ নেন। এই ‘অপরাধে’ই পাম্পের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আর পাম্পের মাধ্যমে পানীয় জল তুলতে পারছেন না। অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেন, গ্রামের বাসিন্দারা হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি করে ওই পাম্প চালাচ্ছিলেন। তাই বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
[বিজেপি প্রার্থী হওয়ার মাশুল, মহিলার সন্তানকে টিকা দিলেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী]
এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বাসিন্দাদের আবার বক্তব্য, চারপাশের অনেক এলাকায় এভাবেই হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিয়ে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কেবল তাঁদের সঙ্গেই এমন আচরণ করা হয়েছে। আর তা করা হয়েছে রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই। পাম্প থেকে জল তুলতে না পারায় এই গরমে বেজায় কষ্ট পেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এর প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
[এ যেন উলটপুরাণ, ‘অফিসিয়াল’ প্রার্থীকেই মনোনয়ন তুলতে হুমকি গোঁজের!]