Advertisement
Advertisement

Breaking News

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে দালালচক্রের রমরমা, বরাতজোরে রক্ষা গৃহবধূর

ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Woman kidnapped from hospital
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 24, 2019 7:51 pm
  • Updated:January 24, 2019 7:51 pm

অরূপ বসাক, মালবাজার: সরকারি হাসপাতাল চত্বরে দালালচক্রের রমরমা! জলপাইগুড়িতে বরাতজোরে রক্ষা পেলেন এক গৃহবধূ। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকেরা।

[ইভটিজিংয়ের শাস্তি, নাকছাবি পরিয়ে অভিযুক্তকে এলাকায় ঘোরালেন স্থানীয়রা

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? জলপাইগুড়ির হলদিবাড়ির বেরুবাড়ি এলাকায় থাকেন বছর বাইশের ওই গৃহবধু। বুধবার সকালে মা-কে ডাক্তার দেখাতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে যান তিনি। ওই গৃহবধূর মায়ের দাবি, তিনি একাই হাসপাতালে ভিতরে গিয়েছিলেন। মেয়ে অপেক্ষা করছিল প্রতীক্ষালয়ে। কিন্তু ডাক্তার দেখিয়ে তিনি তখন ফিরে আসেন, তখন ওই গৃহবধূ প্রতীক্ষালয়ে ছিলেন না। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে তন্নতন্ন করে খুঁজেও ওই তরুণীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। জলপাইগুড়ির কোতুয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শেষপর্যন্ত বুধবার রাতেই মালবাজারের ওদলাবাড়ি এলাকায় ওই গৃহবধূকে পাওয়া যায়।

Advertisement

কিন্তু, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে কীভাবে মালবাজারের ওদলাবাড়িতে চলে গেলেন ওই গৃহবধূ? যিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর বক্তব্য, তিনি যখন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে প্রতীক্ষালয়ে বসেছিলেন, তখন একজন এসে বলে, ওই গৃহবধূর মা হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে গিয়েছেন। ওই গৃহবধূর দাবি, তিনি ওই ব্যক্তিকে চেনেন না। প্রথমে তার কথা বিশ্বাসও করেননি। বরং হাসপাতালে মা-কে খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। শেষপর্যন্ত মায়ের দেখা পাননি। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০০ টাকা হাতে দিয়ে ওই গৃহবধূকে বাসে তুলে দেন। বছর বাইশের ওই তরুণী জানিয়েছেন, ‘বাসে ওঠেই আমি ঘুমিয়ে পড়ি। কডাক্টরকে টিকিট চাইলে এলে বলি, বেরুবাড়ি যাব।’ কিন্তু, বাস ততক্ষণে মালবাজারে পৌঁছে দিয়েছে। সেখানেই ওই গৃহবধুকে নামিয়ে দেন বাসের কডাক্টর। মালবাজার থেকে অন্য একটি বাসে চেপে তিনি চলে আসেন ওদলাবাড়িতে। 

বুধবার রাত ন’টা নাগাদ  ওই গৃহবধূকে ওদলাবাড়ি বাজারে উদ্দেশ্যেহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় এক যুবক। তিনি ওদলাবাড়ি ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশে ওই গৃহবধূকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। যোগাযোগ করা হয় বাড়ির লোকের সঙ্গে। রাতে মেয়ের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে চত্বরে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে দালালচক্র। নানা অছিলায় হাসপাতাল থেকে যুবতীদের মেয়ে পাচার করার চেষ্টা হয়। তেমনই কোনও দালালের খপ্পরে পড়েছিলেন ওই গৃহবধূও।

[ শুঁড়ে তুলে আছাড় হাতির, লাটাগুড়ির জঙ্গলে মৃত্যু ২ মহিলার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ