Advertisement
Advertisement
Lakshmir Bhandar

বেঁচে থেকেও ‘মৃত’! বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ‘জীবিত’ প্রমাণে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরলেন বধূ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না পাওয়ায় আতান্তরে দাসপুরের বধূ।

Woman moves district magistrate office to prove that she is alive । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 9, 2023 5:02 pm
  • Updated:December 9, 2023 5:04 pm

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: পূর্ণিমা বারিক। বাড়ি দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের খেপুত দক্ষিণবাড় গ্রামে। বছর ৩৫-র পূর্ণিমাদেবী একজন প্রান্তিক গৃহবধূ। ঘরকন্না করেন। সংসারে সকলের সঙ্গে দুই নাবালিকা মেয়ের দেখভালও করেন সকাল-সন্ধ্যায়। অথচ সরকারি খাতায় তিনিই নাকি ‘মৃত’। আর ‘মৃত’ বলেই পূর্ণিমাদেবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরলেন বধূ।

তিনি মাসে মাসে হাজার টাকা পান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পূর্ণিমাদেবী শেষবারের মতো টাকা তুলেছিলেন চলতি অর্থবর্ষ মে মাসে। গত জুন মাস থেকে আর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। কারণ তিনি ‘মৃত’। পূর্ণিমাদেবী বলেন, ‘‘দুই মেয়ের টিউশনির টাকা দেব বলে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাই। গিয়ে জানতে পারলাম গত জুন মাস থেকে টাকাই ঢোকেনি আমার অ্যাকাউন্টে। কেন টাকা জমা পড়েনি তা জানতে প্রথমে খেপূত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস পরে দাসপুর দুই ব্লক অফিসে যাই। ব্লক অফিসে গিয়ে জানতে পারি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পোর্টালে আমি ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি তো অবাক। এটা কী করে সম্ভব হল? আমি তো জলজ্যান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: SLST ধরনা মঞ্চে কুণাল ঘোষ, কৌস্তভের সঙ্গে বচসা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা]

ভীষণই ভেঙে পড়েন পূর্ণিমা বারিক। বিডিও প্রবীরকুমার শিট বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’’ ব্লক প্রশাসনের পরামর্শ মেনে পূর্ণিমাদেবী নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগম পূর্ণিমাদেবীকে ‘জীবিত’ বলে শংসাপত্র দিয়েছেন। একইভাবে ব্লক প্রশাসনের শংসাপত্র নিয়ে ঘাটাল মহকুমা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হলফনামা দিয়ে পূর্ণিমাদেবীকে বলতে হয়েছে ‘আমি জীবিত’।

Advertisement

এই হলফনামা তিনি জমা দেবেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে। জেলাশাসক পদক্ষেপ নিলে তিনি আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে পারেন। দাসপুর দুই ব্লকের জেলা পরিষদ সদস্য সৌমিত্র সিংহরায় বলেন, ‘‘যে কারণেই হোক কোথাও একটা ভুল হয়েছে। যার ফলে তিনি পোর্টালে ‘মৃত’ হয়ে গিয়েছেন। যাতে পূর্ণিমাদেবী পুনরায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে পারেন তার সবরকমের চেষ্টা করা হবে।’’

[আরও পড়ুন: ঋণ দেওয়ার নামেও দুর্নীতি! আলিপুরদুয়ারের সমবায়ে তল্লাশিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ