স্টাফ রিপোর্টার: মমতার প্রকল্প চালু করতে চায় যোগীর রাজ্য। ‘গতিধারা’ নিয়ে আগ্রহী অন্য আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য। এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানতেই শুভেন্দু অধিকারীর দপ্তরের পরামর্শ চেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যোগীর ক্যাবিনেটের পরিবহণমন্ত্রীর নির্দেশেই বাংলার পরিবহণ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন ওই রাজ্যের আমলারা।
[ এবার দিঘার সমুদ্রে কোমর জলের বেশি নামলেই গ্রেপ্তার ]
‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানেই দিল্লিতে রাজ্যের প্রকল্পের জনপ্রিয়তা আঁচ করা গিয়েছে। গতিধারা পেয়েছে স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড। তিন বছর আগে প্রকল্পটি পরিবহন দপ্তরের হাতে আসার পর এসেছে চমকপ্রদ সাফল্য। গত আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার, কিন্তু গাড়ি পেয়েছেন ১০৫৫১ জন। সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের মধ্যে একমাত্র গোল্ড সম্মান গতিধারার। নবান্নের নির্দেশে এবারই প্রথম স্কচ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করে পরিবহণ দপ্তর। ‘পথদিশা’ও পেয়েছে স্কচ অর্ডার অফ মেরিট। শুক্রবার দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নারায়ণ স্বরূপ নিগমের হাতে সম্মানফলক তুলে দেন অফিসাররা।
[ পিস্তল উঁচিয়ে বিজেপির মিছিল, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় পুরুলিয়া ]
এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পরিষেবা চালু হল আধুনিক ত্রিতল জলযান এম ভি শিক্ষাশ্রীর। হাওড়া থেকে মিলেনিয়াম পার্ক জেটি পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সাধারণ যাত্রীর সঙ্গেই যাত্রাপথে সওয়ার হলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দপ্তরের প্রধান সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পরিবহন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সাধারণ মানুষের মতো টিকিট কেটে ভেসেলে উঠে আপ্লুত অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি। পরিবহণমন্ত্রীর নানা মুহূর্ত তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করলেন। মন্ত্রী জানালেন, ৪০০ যাত্রী ক্ষমতাবিশিষ্ট রাজ্যের প্রথম ত্রিতল এই ইস্পাতনির্মিত ভেসেল কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যাত্রী পরিষেবার কাজ করবে। আবেদনের ভিত্তিতে নদীপথে ভ্রমণ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কাজেও ভাড়া দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রীর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলপথকে গুরুত্ব দিতেই জলধারা ও জলসাথী চালু করা হয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে।” এম ভি শিক্ষাশ্রীর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। এই জলযানে ২টি ১৪০ অশ্ব ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন রয়েছে। নিচের ডেকে ২৫০ জন, দ্বিতল ডেকে ১২৫ ও ত্রিতল ডেকে ২৫ জন যাত্রী একসঙ্গে উঠতে পারবেন। ময়ূরপঙ্খীর সাফল্যের পর এই যানকেও ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামিদিনে বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় গঙ্গার ধারে নতুন জেটি তৈরি, পুরনো জেটির সংস্কার, নয়া জলযান তৈরি ও ওয়াটার ট্যাক্সির ভাবনাও রয়েছে দপ্তরের। শুভেন্দু অধিকারীও জানান, ধাপে ধাপে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হবে। অনুষ্ঠানে ছিলেন পরিবহণ দফতরের কর্তা তপনকান্তি রুদ্র, সুদীপ মিত্র, চপল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.