দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তিন বছরের প্রেম। গভীরতা গড়িয়েছিল শারীরিক সম্পর্কেও। তবে নতুন যুবকের অন্তর্ভুক্তিতেই সাত মাস আগে বিচ্ছেদ। ত্রিকোণ প্রেমে শেষপর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন সোনারপুরের পুজা মহাজন। ঘটনায় তাঁর প্রাক্তন প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে ওই তরুণীর বাবার জমি কেলেঙ্কারির কথাও।
[সরকারি সাইনবোর্ডে ‘স্কুল’-এর বদলে লেখা ‘ইস্কুল’, সমালোচনায় সরব শিক্ষক মহল]
মঙ্গলবার রাতে সোনারপুর থানার ঘোষপাড়া অগ্রদূত ক্লাবের সামনে গুলিবিদ্ধ হন বছর একুশের তরুণী পূজা মহাজন। বুধবার সকালে সৌমেন কয়াল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সৌমেনের সঙ্গে পূজার তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা শারীরিক সম্পর্কে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু ইদানীং পূজার সঙ্গে টালিগঞ্জ এলাকার এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়। আর তাতেই সৌমেন ও পূজার সম্পর্কে অবনতি হয়। সেই কারণে সৌমেন গুলি চালিয়ে পূজাকে হত্যার ছক করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট সৌমেন কয়াল। তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা পূজা চাকরি করত একটি বেসরকারি সংস্থায়। সম্পর্কে বিচ্ছেদের পর সৌমেন একাধিকবার পূজাকে হুমকি দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। পূজার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা স্বীকার করেছে সৌমেনও। তাঁর বক্তব্য, পূজার সঙ্গে সম্পর্ক মাস সাতেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাহলে এতদিন পর হঠাৎ করে সে কেন পূজাকে গুলি করতে যাব?
মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন পূজা। সেই সময় বাড়ির কাছেই মোটরবাইকে চেপে মাফলার দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল দুই যুবক। ওই তরুণীর পথ আটকায় তারা। পূজাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় পূজা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওই দুই যুবক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণী ভরতি পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আরজি কর হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বুধবার রাতে মারা গেলেন পূজা মহাজন। এদিকে আবার এই ঘটনায় পূজার বাবার জমি সংক্রান্ত প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এখন জেলে পূজা মহাজনের বাবা। সেক্ষেত্রে বাবার সঙ্গে শক্রতার জেরে মেয়েকে খুনের চেষ্টা হল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[ কয়লা শিল্পের ইতিহাস সংরক্ষণে মিউজিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত ইসিএলের]