Advertisement
Advertisement
করোনা

লকডাউনের আগে বাড়ি ফেরার তাড়া, ধর্মতলায় থিক থিকে ভিড়

এদিনের ভিড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

Coronavirus Outbreak: crowd in dharmatala area on monday morning
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 23, 2020 11:39 am
  • Updated:March 23, 2020 11:40 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্য লকডাউন (lockdown)। তাই যারা কর্মসূত্রে বা অন্য যে কোনও কারণে বাড়ির বাইরে ছিলেন রবিবার, তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্য বরাদ্দ সময় সোমবার সকালটুকুই। কিন্তু ট্রেন পরিষেবা তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে রবিবার রাতেই। স্বাভাবিকভাবেই কোনওক্রমে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছতে সকাল থেকেই ধর্মতলায় মানুষের ঢল। আর এতেই সংক্রমণ আশঙ্কা বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে জনতা কারফিউ(Janta curfew)। বাতিল ছিল প্রচুর ট্রেন। আধ ঘণ্টা অন্তর চলছিল মেট্রো। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তাঘাটে লোকজনের দেখা মেলেনি। স্বতস্ফুর্তভাবে ঘরবন্দি ছিলেন বহু মানুষ। এরপর দুপুর গড়াতেই কেন্দ্রের তরফে ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। নবান্নের তরফে জানানো হয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত। যার জেরে প্রবল সমস্যার পড়তে হয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মসংস্থান বা পড়াশোনার জন্য কলকাতায় বসবাসকারীরা। রবিবারের কারফিউ-এর পর বাড়ি ফেরার জন্য সোমবার সকালটুকু তাঁদের হাতে থাকলেও ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাঁদের।

Advertisement

mob

Advertisement

সোমবার সকাল থেকে রাস্তায় বাসেরও দেখা নেই। স্বাভাবিকভাবেই সাত সকালে রাস্তায় বের হলেও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।

[আরও পড়ুন: লন্ডন ফেরত তরুণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার শাস্তি, বাবা-মা ও পরিচারিকাও করোনা আক্রান্ত]

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে ধর্মতলা চত্বরে। বাসের জন্য ঠায় অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ।

কোনওক্রমে একটি বাস মিললে তাতেই বাদুরঝোলা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন সকলেই। কিন্তু যে সংক্রমণ ঠেকাতে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত এদিনের ভিড় দেখে তা আদৌ কতটা কার্যকর তা ভাবাচ্ছে সকলকে।

ছবি: অরিজিৎ সাহা

[আরও পড়ুন: বেলেঘাটা আইডিতে অপেক্ষারত মানুষ, ভিড় সামলাতে গিয়ে নাজেহাল দশা চিকিৎসকদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ