Advertisement
Advertisement

Breaking News

জামুড়িয়ার এই কালীপুজোর হোতা ডাকাত দলের সর্দার!

ডাকাত কালী পুজো দেখতে ভি়ড় করেন বহু মানুষ।

Dacoit starts this Kali pujo in Asansol
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 31, 2018 8:51 pm
  • Updated:October 31, 2018 8:51 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এ যেন দস্যু রত্নাকরের বাল্মিকী হয়ে ওঠার কাহিনি! ডাকাতি ছেড়ে পুজো অর্চনা নিয়েই দিন কাটান জামুড়িয়ার অধম বাবা ওরফে এককালের ডাকাত সর্দার। ভক্তদের নীতিকথা শুনিয়ে সৎপথে থাকার উপদেশ দেন। দীপান্বিতা অমাবস্যায় ডাকাত কালীর পুজো দেখতে জামুড়িয়ায় ভিড় জমান বহু মানুষ।

[ খেলার ছলেই ৫৭ বছর আগে শুরু কুলটির ‘চানাচুর কালী’-র পুজো]

Advertisement

আসানসোলের জামুড়িয়ায় অধম বাবার আশ্রম। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কেন্দা যাওয়ার পথে পড়ে আশ্রমটি। কালো পোশাক, লাল তিলক, পক্ক কেশ-সহ দাড়িওয়ালা এক বাবাজির দেখা মিলবে আশ্রমের কালীমন্দিরে। ৭৪ বছরে ওই বৃদ্ধের নাম অধম। স্থানীয়রা যাঁকে ‘অধম বাবা’ বলে ডাকেন। শ্মশানকালীর ওই মন্দিরটি এলাকায় পরিচিত ‘ডাকাত কালী’ নামে। কারণ এই অধম বাবাই ছিলেন অতীতে ডাকাত দলের সর্দার। একথা সবাই জানেন। ভক্তদের প্রবচন শোনানোর সময় অতীতের ডাকাতির গল্প ঘটা করে বলেন অধম বাবা। তিনি কী পাপ করেছেন সেই প্রসঙ্গ টেনে এখন নীতি-আদর্শ আর তত্ত্বের কথা শোনান ভক্তদের। অধম থেকে উত্তম হওয়ার সেই গল্পের টানেই বেড়ে চলেছে ভক্তের সংখ্যাও। অধম বাবার দাবি, বর্ধমান বীরভূম বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া এই চার জেলায় এক সময় ডাকাতি করেছেন তিনি। যখন  যুবক ছিলেন, তখন গৃহস্থ বাড়ি ও ব্যাংক, পোস্ট অফিসের মতো সরকারি দপ্তরেও দলবল নিয়ে ডাকাতি করেছিলেন। দলের ১৪টি বন্দুক ছিল তাঁর হেফাজতে। কীভাবে শুভ বুদ্ধির উদয় হল? অধম বাবা বলেন, একসময়ে তিনি বুঝতে পারেন, ডাকাতি করে অর্থ উপার্জন করা যায় ঠিকই. কিন্তু সুখী হওয়া যায় না। পাপের এই ফল না পরিবারের কাজে লাগে, না নিজের ভোগে। দলবল ছেড়ে ধরা দেন পুলিশের কাছে। জেলও খাটেন। তারপরেই দস্যু রত্নাকরের মনবৃত্তি ছেড়ে মন দেন তপস্যা সাধনায়।

Advertisement

ডাকাত দলের যোগ দেওয়ার আগে আসানসোলের জামুড়িয়ার একটি কালীমন্দিরেই সর্বক্ষণ থাকতেন অধম। কীর্তনের দলের সঙ্গে গান গাইতেন। ডাকাতি ছেড়ে পর ফের সেই মন্দিরে ফিরে আসেন তিনি। ডাকাত দলের সর্দারের ধম্মকম্মে মন দেওয়ায় খুশি হন গ্রামের মানুষজন। জমিদান করে অধমকে আশ্রম গড়তে সাহায্য করেন তাঁরা। অধম ডাকাত থেকে হয়ে যায় ‘অধম বাবা’। তখন থেকেই অধমের কালীর নাম হয়ে যায় ‘ডাকাত কালী’। অধমের জনপ্রিয়তা এতটাই যে, খোদ পঞ্চায়েত থেকে আশ্রমের পাশে শ্মশান ঘাটটির সরকারিভাবে নামকরণ করা হয়েছে অধমবাবা শ্মশান ঘাট। আশ্রমে দীপান্বিতা অমাবস্যায় ডাকাত কালীর পুজো হয় মহাধুমধাম করে। অধম বাবা সেই সময় বসেন পঞ্চমুণ্ডির আসনে।

[ ‘৯ টাকার মা’-এর টানেই এই বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ