Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ramakrishna Paramhansa

রামলালা ও শ্রীরামকৃষ্ণর যোগ

'রঘুপতি’ ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের পরিবারের কুলদেবতা।

Relation with Ramlala and Ramakrishna Paramhansa
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 12, 2024 3:48 pm
  • Updated:March 12, 2024 4:03 pm

‘রঘুপতি’ তাঁদের কুলদেবতা। তাঁদের পরিবারের সদস্যর মধ্যে ‘রাম’ নামের ছড়াছড়ি। জ্ঞান হওয়া ইস্তক রামকৃষ্ণ পিতা ক্ষুদিরামকে ভক্তিভরে রঘুবীর শিলা নিত্যপূজা করতে দেখেছেন। কিন্তু দক্ষিণেশ্বরে আগত এক বাবাজির কাছে আরেক ভাবের সাধন দেখলেন। শ্রীরামকে ‘বালক’ হিসাবে কল্পনা করে বাৎসল্যভাবে তাঁকে নিজের করে নেওয়া। শ্রীরামকৃষ্ণর জন্মতিথিতে (১৭ মার্চ জন্মোৎসব) লিখছেন দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত

শ্রীরামকৃষ্ণদেব যেমন চাইতেন, তেমনভাবেই দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে আগত সাধু-সন্ন্যাসীদের সেবার ব্যবস্থা করতেন রানি রাসমণির জামাই মথুরানাথ বিশ্বাস। ফেব্রুয়ারি ১৮৬১ রানির প্রয়াণের পর সর্বময় কর্তৃত্ব পেয়ে সেজবাবু মথুর এই বিষয়ে আরও যত্নবান হলেন। আতিথেয়তার এই সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় তীর্থযাত্রার পথে বহু সাধু এখানে কয়েক দিন বিশ্রাম নিয়ে যেতেন। তাঁদের থাকা-খাওয়ার আন্তরিক বন্দোবস্ত তো ছিলই, সেই সঙ্গে রামকৃষ্ণর ইচ্ছা অনুসারে তাঁদের কাপড়, কম্বল, কমণ্ডলুও দান করা হত। সেই সূত্রেই ‘জটাধারী’ নামে এক রামাইত সাধুর সঙ্গে রামকৃষ্ণর যোগাযোগ। রামাইত বা রামায়েত– অর্থাৎ, রাম ভক্ত; আরও নির্দিষ্টভাবে বললে, রাম-উপাসক এক বৈষ্ণব সম্প্রদায়।

Advertisement

বংশে রাম-নাম
শ্রীরামচন্দ্রর প্রতি রামকৃষ্ণর বংশানুক্রমিক যোগাযোগ। রঘুপতি রাম তাঁদের কুলদেবতা। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘রাম’ নামের ছড়াছড়ি। তাঁর বাবার নাম ক্ষুদিরাম, দুই কাকা নিধিরাম আর কানাইরাম, পিসি রামশীলা, বড়দাদা রামকুমার, আর সেতুবন্ধ দর্শনের পর জন্ম হওয়ায় বাবা মেজদাদার নাম রাখেন রামেশ্বর। তাঁর যে খুড়তুতো দাদা দক্ষিণেশ্বরে পূজারি হিসাবে যোগ দেন, তাঁর নাম রামতারক, ওরফে হলধারী। তাঁর পিসতুতো বোনের পুত্র হৃদয়রামের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণর কত ঘনিষ্ঠ দিনযাপন।

Advertisement

আরাধ্যের সেই সুরে সুর মিলিয়ে বালকটির নাম রাখা হয়েছিল ‘রামকৃষ্ণ’। কিন্তু সে নাম কামারপুকুরে তেমন আদর পায়নি। গয়াধামে পিতা ক্ষুদিরাম দেবস্বপ্নে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী শ্রীবিষ্ণু দর্শন করার পর তাঁর জন্ম হয় বলে নাম রাখা হয়েছিল ‘গদাধর’। সেই নামেই নিজের গ্রামে তিনি পরিচিত। গদাধরের কাকা-পিসিদের বাড়িতে কেবল তাঁকে ‘রামকৃষ্ণ’ নামে ডাকা হত। দক্ষিণেশ্বরে আবার সেই নাম মান্যতা পেল। ‘কথামৃত’-কার শ্রীম ভবতারিণী মন্দিরের হিসাবের খাতায় দেখিয়েছেন, ১৮৫৮ সালে শ্রীশ্রীরাধাকান্তজির পূজক হিসেবে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’ নামের উল্লেখ।

 

[আরও পড়ুন: অবশেষে কার্যকর CAA, কী এই আইন? কেন এনিয়ে এত বিতর্ক?]

জয় রঘুবীর
জ্ঞান-হওয়া-ইস্তক রামকৃষ্ণ পিতা ক্ষুদিরামকে ভক্তিভরে শ্রীরামচন্দ্রর প্রতীক, সর্বলক্ষণসম্পন্ন রঘুবীর শিলা নিত্যপূজা করতে দেখেছেন। স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে রাস্তার ধারে ধানখেতের মধ্যে ক্ষুদিরাম এই নিখুঁত শালগ্রাম শিলাটি লাভ করেন। শাস্ত্রোক্ত লক্ষণ মিলিয়ে দেখা যায়, এই শিলা প্রকৃতই ‘রঘুবীর’ শ্রেণির। এই শিলার সামনে বসে ধ্যানস্থ ক্ষুদিরামের গম্ভীর মন্ত্রোচ্চারণ এবং ‘জয় রঘুবীর’ ধ্বনি রামকৃষ্ণ যেন চোখ বুজলে শুনতে পান।

তাঁর নিজের কণ্ঠে ‘রঘুবীর’ ডাক শুনে এই কিছুকাল আগে অবধি শিউরে উঠত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মানুষজনও, যেন শ্রীরামচন্দ্রর মুখোমুখি হয়ে রামকৃষ্ণ তাঁকে সম্বোধন করছেন! কামারপুকুরে থাকার সময়, বিশেষত পিতৃবিয়োগের পর, তিনি দীর্ঘদিন গৃহদেবতা রঘুবীরের পুজো করেছেন। সেই সময় রাম-মন্ত্রে তাঁর দীক্ষাও হয়। কিন্তু এখানে রাম-অর্চনায় আরাধ্যের সঙ্গে তাঁর অন্য ঘনিষ্ঠতা। এক্ষেত্রে রাম-ভক্ত মহাবীরকেই তিনি আদর্শ মানলেন। শ্রীরামচন্দ্রকে প্রভু হিসাবে শিরোধার্য করে শুরু হয়েছিল রামকৃষ্ণর দাস্যভাবে সাধন।

একদিন পঞ্চবটিতলে তিনি বসে আছেন। জপ-ধ্যান যে তেমন কিছু করছিলেন তা নয়, এমনিই অন্যমনস্কভাবে বসে। এমন সময় হঠাৎ চারপাশটা আলোকিত হয়ে উঠল। রামকৃষ্ণ তাকিয়ে দেখলেন, উত্তর দিক থেকে এক নিরুপমা জ্যোতির্ময়ী নারী ধীর পায়ে তাঁর দিকে এগিয়ে আসছেন, প্রসন্ন মুখে তাকিয়ে আছেন সরাসরি তাঁর দিকে। কে ইনি? কিছু ঠাহর করার আগেই হুপ-হুপ শব্দ করতে করতে এক হনুমান কোত্থেকে এসে সেই নারীর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। সীতা! বিদ্যুচ্চমকের মতো রামকৃষ্ণ সব বুঝতে পারলেন। ‘মা, মা’ বলতে বলতে তিনি জনকরাজনন্দিনীর পা-দু’টি জড়িয়ে ধরতে গেলেন। কিন্তু তার আগেই সেই নারীমূর্তি চকিতে এগিয়ে এসে যেন রামকৃষ্ণর শরীরে মিশে গেল। অভিভূত রামকৃষ্ণ বাহ্যজ্ঞান হারালেন।

মন্ত্রর সাধন
‘বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা’ এসে মিলেছিল রামকৃষ্ণর আধ্যাত্মিক চর্চায়। শ্রীরামচন্দ্রর প্রতি দাস্যভাবে সাধনার পর ১৮৬১ সালে তিনি গুরু হিসাবে লাভ করেছিলেন ভৈরবী যোগেশ্বরী মাকে, যাঁর নির্দেশে রামকৃষ্ণর তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভ। এরপর ১৮৬৩-’৬৪ সালে দক্ষিণেশ্বরে জটাধারী বাবাজির আগমন।

আপাতভাবে বাবাজিকে বোঝা শক্ত। তিনি সবসময় অষ্টধাতু (রামচন্দ্র দত্তর মতে পিতল) নির্মিত শ্রীরামচন্দ্রর এক ছোট বালক-মূর্তি নিয়েই বুঁদ হয়ে থাকেন। তাকে সস্নেহে ‘রামলালা’ বলে ডাকেন। রামলালার নিত্য লালনপালনই তাঁর সাধনা। যেখানে যান, সঙ্গে করে নিয়ে যান। ভিক্ষা করে যা জোটে, তা রেঁধে-বেড়ে রামলালাকে ভোগ দেন। প্রত্যক্ষ করেন রামলালা সত্যি-সত্যি খাচ্ছে। কখনও আবার সে আবদার করে বিশেষ কিছু খাবারের বা বেড়াতে যাওয়ার। সারাক্ষণ তার কাজ, তার সঙ্গে কথাবার্তাতেই বাবাজির দিন-রাত কাটে। চারপাশের মানুষজন তাঁকে দেখে অবাক হয়, মশকরা করে।

রামকৃষ্ণ বুঝতে পারেন, এই সাধু প্রবলভাবে প্রকৃতিস্থ তো বটেই, তিনি অতি উচ্চকোটির। শ্রীরামচন্দ্রর ভাবঘন বালবিগ্রহ সত্যিই তাঁর সামনে সদা আবির্ভূত। প্রথম দর্শনেই বাবাজির প্রতি রামকৃষ্ণ এক আলাদা আকর্ষণ বোধ করতে থাকেন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব তিনিই গুছিয়ে দেন। আর রোজ অনেকটা সময় বাবাজির কাছে বসে থাকতে শুরু করেন। বাবাজির নিষ্ঠার প্রতি রামকৃষ্ণ শ্রদ্ধাবনত।

শৈশবকাল থেকে রামচন্দ্রকে ‘প্রভু’ হিসাবে জেনে এসেছেন রামকৃষ্ণ। কিন্তু এখন দেখছেন– এ আরেক ভাবের সাধন। শ্রীরামকে ‘বালক’ হিসাবে কল্পনা করে বাৎসল্যভাবে তাঁকে নিজের করে নেওয়া। ‘যত মত তত পথ’-এ বিশ্বাসী রামকৃষ্ণর আপাতত এই পথটি খুব মনে ধরে। তাঁর নিখাদ আগ্রহ দেখে সিদ্ধকাম জটাধারী সস্নেহে তাঁর ইষ্ট গোপালমন্ত্রে এই নবীন সাধককে দীক্ষিত করলেন। এই মন্ত্রের সাধনায় নিমগ্ন হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে জটাধারীর পাশে বসে মূর্তিটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্রমশ রামকৃষ্ণ নিজেও রামলালাকে জীবন্ত দেখতে লাগলেন। সে তাঁর আর বাবাজির চারপাশে নিজের মনে খেলে বেড়ায়, খেতে দিলে খায়।

ওহি রাম
দেখা গেল, দিনের-পর-দিন যত যেতে লাগল, রামলালারও তত রামকৃষ্ণর উপর আকর্ষণ বাড়তে লাগল। যতক্ষণ তিনি বাবাজির কাছে থাকেন, ততক্ষণ সে দিব্যি খেলায় মশগুল। কিন্তু যেই তিনি সেখান থেকে উঠে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ান, সে-ও গুটিগুটি পায়ে তাঁর সঙ্গ নেয়! বারণ করলেও শোনে না। প্রথম-প্রথম রামকৃষ্ণর মনে হত, এসব বুঝি তাঁর মনের খেয়াল। কিন্তু তা নয়, রামকৃষ্ণ স্পষ্ট দেখতে পান ওই তো রামলালা কখনও তাঁর সঙ্গে সঙ্গে, কখনও তাঁর পিছন-পিছন নাচতে-নাচতে আসছে। কখনও আবার কোলে ওঠার জন্য আবদার করছে।

কোলে নিলেও শান্তি আছে? তখন হাঁকপাঁক করে কোল থেকে নেমে দৌড়োদৌড়ি শুরু করবে, কাঁটাবনে ফুল তুলতে ছুটবে, গঙ্গায় ঝাঁপাই জুড়বে। রামকৃষ্ণ হাঁক পাড়েন: ওরে, অমন করিসনি, গরমে পায়ে ফোসকা পড়বে; ওরে, অত জল ঘাঁটিসনি, ঠান্ডা লেগে সর্দি হবে, জ্বর হবে; ওরে বাবুদের বাগানের ফুল ছিঁড়লে বকবে! দুরন্তপনা করতে করতে পদ্মপলাশের মতো চোখ দু’টি তুলে সে ফিকফিক করে দুষ্টুমি হাসি হাসত। কখনও-বা রামকৃষ্ণকে ভেংচি কাটত। নারকোল নাড়ু বানিয়ে খেতে দিলে অর্ধেক খেয়ে বাকিটা রামকৃষ্ণর মুখে গুঁজে দিত।

সব দিন কি আর অবিমিশ্র আদর জুটত? রামকৃষ্ণ ধমক দিতেন, তবে রে পাজি, রোসো, আজ তোকে মেরে হাড় গুঁড়ো করে দেব! ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতে বসলে রামকৃষ্ণর রাগ জল। তখন আবার কোলে করে আদর করতেন। রামকৃষ্ণর সঙ্গে গঙ্গায় নাইতে গিয়ে রামলালা আর জল থেকে উঠতে চায় না। তিনি তাকে জলের মধ্যে চুবিয়ে ধরে শাসন করেন, তবে নে, কত জল ঘাঁটতে চাস ঘাঁট! পরক্ষণেই তার হাঁপ ধরা মুখটা দেখে বলে ওঠেন, এ কী করলুম! একদিন বায়না মেটাতে খানিক খই খেতে দিয়েছেন। ধানের তুষ লেগে তার নরম ঠোঁট গেল চিরে। রামকৃষ্ণ ডুকরে ওঠেন, যে মুখে তোর মা সন্তর্পণে ক্ষীর-ননী তুলে দেয়, আমি
 মন হতভাগা যে সেই মুখে এমন শক্ত খাবার দিলাম!

রামকৃষ্ণর আদি জীবনীকার সত্যচরণ মিত্র তাঁর ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস’ গ্রন্থে লিখেছেন, “রামকৃষ্ণ ভক্তির বাৎসল্যভাবে সেই রামলালা মূর্ত্তির আরাধনা করিতেন। এই মূর্ত্তিতে ভগবান প্রকাশিত হইয়া বালকের ভাবে নানাবিধ আলাপ করিতেন, কখনও রামকৃষ্ণকে ‘বাবা! বাবা!’ বলিয়া ডাকিতেন। রামকৃষ্ণ ভগবান মুখ নিঃসৃত সেই মোহনাশক মধুরস্বরে আচ্ছন্ন হইয়া সমাধিস্থ হইয়া পড়িতেন। আপন মনে তিনি এক দোঁহা আবৃত্তি করতেন, ‘যো রাম দশরথকা বেটা,/ ওহি রাম ঘট-ঘটমে লেটা!/ ওহি রাম জগৎ পসেরা,/ ওহি রাম সবসে নেয়ারা’।”

তোমার কাছেই থাকুক
এক-একদিন রামকৃষ্ণ বড় লজ্জায় পড়তেন। রান্নাবান্না সেরে ভোগ দিতে বসে বাবাজি আর রামলালাকে দেখতেই পান না, শেষে রামকৃষ্ণর ঘরে এসে দেখেন সে মহানন্দে খেলা করছে। তখন অভিমানে জটাধারী তাঁকে কত কী বলতেন! রামলালা দক্ষিণেশ্বর থেকে যেতে চাইছে না বলে বাবাজিও অনেক দিন থেকে গেলেন, তাঁর আদরের রামলালাকে ছেড়ে যেতে কি আর মন চায়?
শেষ পর্যন্ত একদিন মনের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করে তিনি তাঁর কর্তব্য স্থির করলেন। রামকৃষ্ণকে বললেন, রামলালা আমাকে কৃপা করে প্রাণের পিপাসা মিটিয়ে দর্শন দিয়েছে; বলেছে, তোমাকে ছেড়ে যাবে না। আমার মনে কোনও দুঃখ নেই। তোমার কাছে সুখে আছে এই ভেবে ধ্যান করেই আমার আনন্দ হবে। জলভরা চোখে কথা বলতে বলতে রামলালাকে রামকৃষ্ণর হাতে দিয়ে জটাধারী দ্রুত প্রস্থান করলেন।

সেই রামলালা মূর্তি দীর্ঘকাল রাধাকান্ত মন্দিরে পূজিত হতেন। গত শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন তাই আর সেই রামও নেই, তাঁকে প্রকৃত সমাদর করার রামকৃষ্ণও নেই!
তথ্যসূত্র

• শ্রীম। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত
• স্বামী সারদানন্দ। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ
• রামচন্দ্র দত্ত। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ
পরমহংসদেবের জীবনবৃত্তান্ত
• ক্রিস্টোফার ইশারউড। রামকৃষ্ণ অ্যান্ড
হিজ ডিসাইপিলস্‌
• স্বামী দিব্যসুখানন্দ। শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনসুধা
• স্বামী চন্দ্রকান্তানন্দ ও পূর্বা সেনগুপ্ত (সম্পাদিত)। শ্রীরামকৃষ্ণ প্রসঙ্গ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ