Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজয়ার সেকাল এবং বিজয়ার একাল

কালের নিয়মে প্রীতি আর শুভেচ্ছার পরিবর্তনের গাথা৷

Time has changed Bengali Bijoya Dashami
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 11, 2016 3:51 pm
  • Updated:October 11, 2016 4:49 pm

আগে বিজয়ার মজা ছিল রকমারি মিষ্টি তৈরি করার মধ্যে৷ নাড়ু, সন্দেশের কত ধরন, কী স্বাদ! এখন তো বেশির ভাগ বাড়িতেই বাজার থেকে তৈরি অবস্থায় প্যাকেটবন্দি নাড়ু ও নিমকি আসে৷ আর পোস্টকার্ডে প্রিয়জনদের শুভেচ্ছাবার্তা প্রেরণ করাও রূপকথা-সদৃশ! অঞ্জন বসু

আজ শুভ বিজয়া৷ বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি এমনই একটি দিন, যেদিন শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ রাখা মানা৷ সারা বছরের সব তিক্ততা ভুলে এদিন শুধু পরস্পরকে আলিঙ্গন, আর মিষ্টান্নে আপ্যায়ন৷ এই দিনটি এলে মনে হয়, সারা বছর যদি এমন বিজয়া হত, তবে সমাজে এত হিংসা, এত হানাহানি, দৈনন্দিন জীবনে এত মালিন্য, সবই আমরা ভুলে থাকতে পারতাম৷ দ্বন্দ্বমুখর মানবজীবন হয়তো শান্তির সাগরে ভেসে থাকতে পারত৷ কিন্তু তা তো আর হওয়ার নয়! তাই একটি দিনকেও যদি সবরকম কলুষতা থেকে মুক্ত রেখে কিঞ্চিৎ মুক্তির শ্বাস ফেলা যায় তাও-বা মন্দ কী! প্রীতি আর শুভেচ্ছায় ভরা থাক এই বিজয়ার দিনটি৷

Advertisement

সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে জীবনের অনেক কিছুর মতো এই বিজয়ার দিনটিও যেন বদলে গিয়েছে৷ ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ট্যুইটার-এসএমএসের যুগে দাঁড়িয়ে চার-পাঁচ দশক আগের বিজয়ার দিনের কথা ভাবা সত্যিই দুষ্কর৷ সে-যুগে শুভ বিজয়া মানেই ছিল পাড়া-পড়শির জন্য নাড়ু, নিমকি, আর দূরের আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য পোস্ট কার্ড-ইনল্যান্ড৷ প্যাকেট বন্দি নাড়ু-নিমকি তবু পয়সা ফেলে দোকান থেকে কিনে আনা যায়৷ কিন্তু পোস্টকার্ড-ইনল্যান্ডে বিজয়ার চিঠি, এ যুগের ছেলেমেয়েরা সেসব কথা বোধহয় জানেই না৷ বলতে গেলে ভাবে গল্পকথা৷

Advertisement

যদিও সেসব কিন্তু খুব একটা বেশি দিনের কথা নয়! বিজয়া আর বাংলা নববর্ষে বাড়িতে বেশ কিছু পোস্টকার্ড আর ইনল্যান্ড আসত ডাকঘর থেকে৷ তারপর সবাই মিলে লেখা চলত চিঠি৷ কাউকে প্রণাম, কাউকে শুভেচ্ছা, আবার কাউকে স্নেহাশীর্বাদ৷ কে ক’টা বিজয়ার চিঠি লিখল, আর কার নামে বা কার কাছে ক’টা চিঠি এল, তা নিয়ে তখন চলত বিস্তর আলোচনা৷ বিজয়া আর নববর্ষের পর ডাকঘরের পিয়নদের আনাগোনাও তাই বাড়ত অনেক৷ ঠিকমতো যাতে চিঠিটিঠি বাড়িতে আসে৷ তাই তাঁদের আগাম বকশিশও দিয়ে রাখা হত অনেক বাড়ি থেকে৷ এখন আর সেই চিঠির বন্যা নেই, পোস্টম্যান, পিয়নের ব্যস্ততা নেই, বোধহয় নেই আর তাঁদের প্রাপ্য বকশিশও৷ সবই যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে৷

এ যুগের ছেলেমেয়েরা বোধহয় ভুলে গিয়েছে চিঠি লেখাও৷ একদা প্রায়-শৈশবে অথবা বড়জোর বাল্যে চিঠি লেখায় হাতেখড়ি হত এই বিজয়ার দিনে৷ বাবা-কাকা-জ্যাঠামশাইদের কড়া তত্ত্বাবধানে৷ ভুল বানানের জন্য মাথায় গাট্টাও যে মাঝেসাঝে খেতে হত না, তা-ও নয়৷ তবু এভাবেই চিঠি লেখা শেখা হয়ে যেত৷ তারপর অনেকেরই তো প্রতিভার বিকাশ ঘটত নানাভাবে৷ বিজয়ার চিঠি থেকে ভালবাসার চিঠি–ব্যবধান তো মাত্র কয়েকটা বছরের৷ কৈশোর উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই অথবা বড়জোর কৈশোর-যৌবনের সন্ধিক্ষণে চিঠি লেখালিখি নিয়ে ঘটে যেত কত ঘটনা৷

গত দেড় দশক কি দুই দশকে ধাপে-ধাপে একটু-একটু করে সব কিছুই কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গেল৷ হারিয়ে যেতে লাগল কাগজ-কলম-কালি৷ কম্পিউটার-ল্যাপটপ, আর নানা প্রজাতির মোবাইলই এ যুগের ছেলেমেয়েদের ভাবপ্রকাশের মাধ্যম৷ বিজয়া-নববর্ষ থেকে প্রেম-ভালবাসা, সবই এখন এক আঙুলের টরেটক্কা৷ ঘরের কোনায় চেয়ার-টেবিলে গুছিয়ে বসে, অথবা মেঝেতে উবু হয়ে বসে কালি-কলমে হাত মকশো করার আর কোনও প্রয়োজনই আজ নেই৷ পথে চলতে-ফিরতে, ট্রামে-বাসে-ট্রেনে চাপাচাপি ভিড়ে বসে বা দাঁড়িয়েও দিব্যি বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া যায় উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে৷ সত্যিই কত্তো সুবিধা এখন৷

তবু অতীতের সেই চিঠি লেখার মজা কি আর আছে এখন? জানা নেই, কে যে কীসে মজা পায়! সেইরকমই, দোকানের প্যাকেট-বন্দি নাড়ুতে কি আর মা-পিসিমা-মাসিমার হাতের নাড়ুর সেই স্বাদ পাওয়া যায়? ওঁদের হৃদয়ের আর মনের স্নেহ-ভালবাসার উত্তাপ যে নাড়ু-সন্দেশের মিষ্টতা বাড়িয়ে দিত অনেক৷ নারকেল কোরানো, গুড় বা চিনি উনুনের আঁচে গলিয়ে তাতে সেই নারকেল ঢেলে পাক দেওয়া৷ আর তারপর সেই হাতে গরম খণ্ডটিকে হয় গোল্লা পাকিয়ে নাড়ু বানানো অথবা হরেকরকম কাঠের বা পাথরের ছাঁচে ফেলে চাপ দিয়ে দিয়ে সন্দেশ বানানো– সে এক মহাপর্ব বসে যেত রান্নাঘরে৷ কোনওটা ফুলের মতো সন্দেশ, কোনওটা আমের মতো, কোনওটা তালশাঁসের মতো, এক থালায় যে কতরকম সন্দেশ সাজিয়ে রাখা হত, তার শেষ নেই৷ বিজয়া থেকে লক্ষ্মীপুজো, এক-এক বাড়ির রান্নাঘর যেন হেলায় হার মানাত বড়-বড় মিষ্টির দোকানকেও৷

নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশের পাশে নিমকি বানানোও ছিল আর-এক পর্ব৷ ময়দা মাখা, তাতে একটু হালকা নুনের ছিটে, কোথাও একটু কালোজিরে, তারপর কাঠের থালা বারকোশে ফেলে কোনাকুনি করে ছুরি দিয়ে কেটে নিমকির আকার দিয়ে ঘিয়ে ভেজে তোলা–গন্ধে তখন যেন ম-ম করত চারদিক৷ এখনকার সাদা তেলে আর সেই মনমাতানো গন্ধ কোথায়! নিমকিও তো এখন প্যাকেটে করে দোকান থেকে ঘরে আসে৷ এত কষ্ট করে নিমকি ভাজার সময়ই-বা কার আছে এখন? ফাস্ট ফুডের এই যুগে এত লম্বা প্রক্রিয়া আজ অচল–তা সে নারকেলের নাড়ু-সন্দেশ হোক, অথবা নিমকি৷

বিজয়ার স্বাদটাই তাই বদলে গিয়েছে অনেক৷ বাড়ি-বাড়ি ঘুরে বিজয়া করার চলই-বা আজ কোথায়! বিজয়ার সেই সব খাওয়া তো কবেই বিদায় নিয়েছে, কোলাকুলি ব্যাপারটাও বোধহয় এখন উঠি-উঠি করছে৷ এখনকার অনেকের কাছেই ব্যাপারটা বড্ড সেকেলে৷ বড়জোর হাতজোড় করে নমস্কারেই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়৷ অবশ্য যদি কোথাও দেখা-সাক্ষাৎ হয়৷ নইলে শুরুতে যা বলছিলাম–এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকেই কাজ সারা৷ ঝক্কি-ঝঞ্ঝাট অনেক কম৷ খরচ কম তো বটেই৷ সময়েরও অনেক সাশ্রয়৷

বিজয়ায় গুরুজনদের পা ছুঁয়ে প্রণামের রীতিটাও এখন অনেকের কাছে ব্যাকডেটেড৷ পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে যাঁরা বয়ঃজ্যেষ্ঠ তাঁদের পা ছুঁয়ে প্রণামের রীতি তো কবেই উঠে গিয়েছে৷ বাবা-মা, নিজের পরিবারের বড়রা বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ক্ষেত্রেও নিতান্ত বাধ্য হয়ে প্রণাম করতে হলে খুব বেশি মাথানত করার প্রয়োজন হয় না৷ গুরুজনের পায়ের পাতা নয়, হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত হাতটা একটু নিয়ে নিজের কপালের দিকে একবার তুললেই কর্তব্য শেষ৷ ‘পায়ের ধুলো মাথায়’ নেওয়ার ব্যাপারটা মোটামুটি উঠে গিয়েছে অনেক দিন৷ সর্বক্ষেত্রেই এখন শর্টকাট প্রসেস৷ গুরুজনরাও এখন তাই আর সাবেক রীতিতে প্রণাম আশা করেন না৷ ছোটরা মাথাটা একটু নিচু করতেই ‘থাক থাক বাবা…’ বলে নিজেকেই সরিয়ে নেন–ডান হাতটা একটু তুলে আশীর্বাদের ভঙ্গিতে৷ মনে হয়, এই প্রণাম ব্যাপারটাও যত দিন গড়াবে আস্তে-আস্তে হয়তো উঠেই যাবে৷ দু’-চার দশক বাদে তখনকার প্রজন্ম জানবেই না যে, ‘গুরুজনদের প্রণাম’ নামক রীতি ও আচারটা কেমন ছিল৷

অবশ্য এটাই বোধহয় সমাজের স্বাভাবিক গতি৷ এই বিশ্বায়নের যুগে কোনও সমাজ বা কোনও ধর্মের পক্ষেই তাদের সাবেক সমস্ত রীতি, সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে ধরে রাখা আর সম্ভব নয়৷ সব কিছুতেই একটা মিশ্রণ ঘটে চলেছে–পুরনো প্রথাকে বিসর্জন দিয়ে নতুন রীতির প্রচলন৷ কোনও কিছুকেই আর আঁকড়ে ধরে রাখা সম্ভব নয়৷ চারপাশের জানালা-দরজাগুলো এখন এমনই হাট করে খুলে গিয়েছে যে, বাইরে থেকে আসা দমকা হাওয়াকে আটকে রাখা যাবে না৷ পোশাকআশাক থেকে খাওয়াদাওয়া–সর্বক্ষেত্রে আমাদের রুচির এমনই বদল হয়ে গিয়েছে যে, পুরনো কিছুতে ফিরে গেলে মনে হয় একটা কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়া হল৷

বাড়ির মেয়ে শাড়ি পরলে যেমন সবাই এখন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে–বাহ, তোকে কী সুন্দর দেখতে লাগছে রে! অথচ তিন-চার দশক আগেও স্কুল ছাড়ার পর শাড়িটাও ছিল আমাদের বাঙালি ঘরের মেয়েদের স্বাভাবিক পোশাক৷ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন সালোয়ার-কামিজও বোধহয় হাতে গোনা যেত৷ আর জিনস-টপ? সে তো তখনও আসেইনি৷ আর আজ এটাই যেন স্বাভাবিক পোশাক, শাড়িটা ব্যতিক্রম৷

প্রতিমার গড়নও কত বদলে গেল গত অর্ধ শতকে৷ বাড়ির পুজোর বাইরে একচালা প্রতিমা আর ক’টা? একটা সময়ে রমেশ পালরা যখন বড়-বড় পুজোর প্রতিমা গড়তেন, তখন সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখত৷ আহা, কী অপূর্ব! আর আজ থিম পুজোর নতুন-নতুন আঙ্গিকের প্রতিমা লক্ষ-লক্ষ মানুষকে টেনে আনছে মণ্ডপে৷ আর্ট কলেজের পাশ-করা নামী শিল্পীদের দামি প্রতিমার দাপটে পিছিয়ে পড়ছে কুমোরটুলির পাল বংশের সাবেক শিল্পকলা৷ কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, বিচার করা সত্যিই কঠিন৷ সময়ের উত্তাল ঢেউ খুব দ্রুত পিছনে ফেলে দিচ্ছে অনেক কিছুই৷ আমাদের চোখের সামনে উঠে আসছে আরও নতুন৷ এই নতুনত্বের কোনও সীমা নেই৷ তার শেষ কথা বলেও কিছু নেই৷

তবে চারদিনের পুজো শেষে বিজয়ার দিন প্রতিমা বিসর্জন নিয়েও অতীতে যে উৎসবের মেজাজ দেখা যেত, তা যেন এখন অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে৷ সব ঠাকুর আর একই দিনে ভাসান হয় না বলে৷ আগে পুজোর চারদিন মানুষ মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখত, আর বিসর্জনের দিন হাজার-হাজার মানুষ প্রায় সারা রাত ধরে প্রতিমার যাত্রাপথে অপেক্ষা করত শেষ দেখাটি একবার দেখার জন্য৷ আলোর-পর-আলো, ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে নানা সাজের নানা মেজাজের ব্যান্ড পার্টির দল৷ একসঙ্গে একরাতে এত প্রতিমার মিছিল, এত আলোর মিছিল, এত বাজনার মিছিল–সব মিলিয়ে সারা রাত ধরে বয়ে যেত এক অন্যরকম উন্মাদনা৷

এই রাত শেষে আবার তো একটা বছরের অপেক্ষা আর দিন গোনা৷ রাত শেষ হয়ে সকাল হতেই তো বিজয়ার পালা৷ বিজয়ার পরও এখন বাসি প্রতিমা থাকে মণ্ডপে আরও কয়েক দিন৷ কোথাও-কোথাও লক্ষ্মীপুজো পর্যন্তও মণ্ডপে প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়৷ যেদিন ভাসান হয়, সেদিন সকলেই সাধ্যমতো আলো আর ব্যান্ডপার্টি নিয়ে শোভাযাত্রা করে বটে, কিন্তু একই রাতে সমস্ত প্রতিমার বর্ণাঢ্য মিছিলে যে-উন্মাদনা সৃষ্টি হত, বিচ্ছিন্নভাবে এক-একদিন এক-একটি ভাসানে তা আর সম্ভব নয়৷ মানুষেরই-বা কত সময় রয়েছে যে প্রত্যেক সন্ধ্যায় রাস্তায় নেমে বিসর্জনের মিছিল দেখবে?  ফলে সেই আনন্দটাই হারিয়ে গিয়েছে৷

বিসর্জনের শোভাযাত্রার পথে বিজয়ার রাতে যে-মেলা বসে যেত,  তা-ও হারিয়ে গিয়েছে অনেকটা৷ এখন তো বিজয়ার দিন বাড়ির পুজোর প্রতিমা ছাড়া আর বিসর্জন হয় সামান্যই৷ আসলে চারদিনের পুজো এখন ‘বারো ইয়ার’-এর পাল্লায় পড়ে আগে-পিছে বাড়তে-বাড়তে কোথাও-কোথাও প্রায় বারোদিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কলকাতায় ও বাংলায় বারোয়ারির দুর্গাপুজোয় এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন৷ ‘আগমনি’-র আর প্রয়োজন হয় না, মহালয়া আসতে-না-আসতেই আবরণ উন্মোচিত হয়ে মা হাজির৷

আর এবারের পুজোর বাজারে তো সবচেয়ে বড় খবর, বস্তুবাদী কমিউনিস্টদেরও আর ভাববাদী দুর্গাপুজোয় যোগ দিতে বাধা থাকছে না৷ সিপিআইএমের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা যায়, মার্কসীয় দ্বন্দ্বমূলক তত্ত্ব ছেড়ে তাঁরাও এবার মাতবেন স্বর্গীয় সুর-অসুরের দ্বন্দ্ব নিয়ে৷ আগামী বার থেকে হয়তো দেখা যাবে কোথাও-কোথাও বামপন্থী পুজোও৷

এর চেয়ে নতুন আর কী হতে পারে!

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ