চারুবাক: যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে মায়ের মৃত্যু হল। দুই সন্তানের একজন ঠাঁই পেল ভিলেন মামার কাছে, অন্য সন্তান বড় হল মুসলিম নার্সের কাছে। সুতরাং একজনের নাম উজান, অন্যজন আজান। ততদিন জানা ছিল যমজ সন্তানরা দুগ্ধপোষ্য থাকার সময় কান্না-হাসি ব্যাপারগুলো কখনও সখনও একসঙ্গেই করে। এই প্রথম দেখলাম আধদামড়া বয়সেও মাতাল হওয়া থেকে কিল-ঘুষি, মারপিটও দু’জনে একই সময় একসাথে করে! কী আশ্চর্য!
[ভাইজান থাকাই সার! গল্পের গরু গাছে তুলে হোঁচট রেমোর ‘রেস’-এর ঘোড়ার]
এরকম আশ্চর্যজনক ঘটনা, আর চরিত্রে ভরপুর ছবি ‘ভাইজান এলো রে’। শুধু এল নয়, ইদের দিনের আগে বেশ ঘটা করেই এল। ইদের আনন্দকে উজ্জ্বল করতে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের এই ছবি কমেডির কোটিং লাগানো বাংলা ছবির ষাট-সত্তর দশকের ঘরানার বাণিজ্যিক ছবি। আজান-উজান দুই চরিত্রেই বাংলাদেশি অভিনেতা শাকিব খান। উজানও আবার এক সময় বলছে আমাকে দেখতে শাকিব খানের মতো। যমজের উপস্থিতি নিয়ে গোল পাকাতে সম্পত্তিলোভী জামাইবাবু (শান্তিলাল) যেমন আছে, তেমনি লন্ডনবাসী ‘কী আশ্চর্য’ রজতাভ দত্ত আছেন তাঁর কন্যা শ্রাবন্তীকে নিয়ে। জামাইবাবুর দাপটে উজান কেঁচো। আর আজান ফিল্মে ড্রেস সাপ্লায়ার। দুই শাগরেদ তাঁর বিশ্বনাথ ও পায়েল। তিনজনে লন্ডনে যায় ফিল্মের শুটিংয়ের জন্য। আর উজান বাড়ি থেকে পালিয়ে ভিসা ছাড়াই শুধু পাসপোর্ট আর টিকিট নিয়ে লন্ডন পাড়ি দেয় জামাইবাবুর অত্যাচারে নাজেহাল হয়ে। ইমিগ্রেশনেও কোনও অসুবিধা হয় না। এবং খোদ লন্ডনে দেখা হয়ে যায় বাংলাদেশি ব্রিটিশ পুলিশ ভোম্বল কোলের সঙ্গে, নইলে আপদ-বিপদে ‘কোল’ দেবে কে!
[রাজের ‘জোজো’ হয়ে টলিউডে জয়জিৎ-পুত্র যশোজিৎ, অরুণাচলে চলছে শুটিং]
এরপর পশ্চিমবাংলার কুসুমপুর আর লন্ডনে প্রায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মতো দু’দিন পরেই আসছি বা সকালে লন্ডনে পৌঁছে বিকেলের ফ্লাইটে ফেরত আসার ব্যাপার ঘটতে থাকে। এদিকে চলতে থাকে এক শাকিব খানের সঙ্গেই শ্রাবন্তী আর পায়েলের নাচা-গানা, প্রেম। সেই প্রেমও হয়ে যায় ভ্রান্তিবিলাসের মতো পালটা-উলটো। সেটা কেমন করে সোজা হয়ে যায় তা দেখার জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হলমুখো হতে হবে। রাজি তো!
[‘গুরু’ গোবিন্দার সঙ্গে দেখা, উচ্ছ্বসিত ডান্সিং আঙ্কল কী বললেন জানেন?]