সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু বিতর্কের পর দিনকয়েক আগেই সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের প্রধান পদ থেকে সরতে হয়েছে পহেলাজ নিহালানিকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন গীতিকার প্রসূন জোশী। তবে বিগত কয়েকদিন চুপ থাকলেও অবশেষে সমালোচকদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নিহালানি। জানালেন, সেন্সর বোর্ড এতটাই বিভ্রান্ত যে, নিজেরাই জানে না তারা কী চায় আর কী চায় না।
সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পহেলাজ। অনুরাগ কাশ্যপের ‘উড়তা পাঞ্জাব’ থেকে শুরু করে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ‘, বেশ কয়েকটি সিনেমাতেই পহেলাজের নির্দেশে কাঁচি চালিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। এই ঘটনাগুলির জন্যই পহেলাজের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সময়ের আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এরপরই সেন্সর বোর্ডের উদ্দেশে এই তোপ নিহালানির। যে সমস্ত সিনেমা পহেলাজের কোপের মুখে পড়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল শাহরুখ অভিনীত ‘জব হ্যারি মেট সেজল‘। সিনেমাটিতে ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দটি বাদ দিতে বলেন তিনি। অন্যদিকে, বাংলা সিনেমা ‘ধনঞ্জয়’-এ একই শব্দ ব্যবহৃত হলেও বাধা দেয়নি সেন্সর বোর্ড। এই নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এদিন সেই নিয়েও বক্তব্য রাখেন নিহালানি। বলেন, ‘শাহরুখের সিনেমা অনেক খুদেরাই দেখতে আসবে। তাই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে কখনই ওই শব্দটি নিয়ে আমার কোনও আপত্তি ছিল না।’ এরপরই সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘একটা কথা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, সেন্সর বোর্ডের নির্দেশিকায় এমন কোথাও লেখা নেই যে, প্রয়োজন পড়লেও সিনেমার কোনও দৃশ্য বাদ দেওয়া যাবে না। তবুও যে দৃশ্যগুলি বাদ দেওয়া উচিত, উপরমহল থেকে সেগুলি বাদ দিতে বারণ করা হয়েছিল। সেন্সর বোর্ড আসলে খুবই বিভ্রান্ত। কী করতে হবে আর কী করতে হবে না সেটা তারা নিজেরাই জানে না। অবিলম্বে একটি নির্দেশিকা জারি করতে হবে, নাহলে সেন্সর বোর্ড সেই পিছিয়েই থাকবে।’
এরপর সমালোচকদের একহাত নেন তিনি। বিশেষ করে অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। বলেন, ‘আমি জানি, আমার চলে যাওয়াতে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ। উনি আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। আমার অপসারণের খবর পেয়ে নিশ্চয়ই অনুরাগ গান গাইতে শুরু করেছে। ওকে খুশি করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। কিন্তু অনেকেই এমন রয়েছেন, যাঁরা প্রকাশ্যে আমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তাঁরা আমার সরে যাওয়াতে খুশি?’ এর পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরেরও সমালোচনা করে বলেন, তিনিই নাকি নিহালানিকে ‘সংস্কারি ভিলেন’ বানিয়েছেন। জানান, তিনি আমার কাজের প্রশংসা করলেও পরিচালক এবং কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করলে অন্য কথা বলতেন।বরখাস্ত হওয়ার পর এই প্রথমবার এতটা চাঁচাছোলা মন্তব্য শোনা গেল পহেলাজের মুখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.