Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anirban Bhattacharya

‘বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অনির্বাণদা!’ অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের

অভিনেতার বিরুদ্ধে কেন হঠাৎ এমন অভিযোগ?

Anirban Bhattacharya Social Manager alleges actor for threat mental trauma disrespect and violation of work ethics | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:August 25, 2022 8:18 pm
  • Updated:August 25, 2022 8:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের (Anirban Bhattacharya) ফলোয়ার সংখ্য়া নেহাত কম নয়। তা রোজই বাড়ছে। ঠিক এই সময়ই অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার শ্রেয়া মিত্র, সাহানা রায় চৌধুরী, অবন্তী ভট্টাচার্য অভিযোগ আনলেন অভিনেতার বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ গত চার বছর ধরে অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়া পেজের দায়িত্ব সামলেছেন শ্রেয়া ও তাঁর টিম। কিন্তু তার পরিবর্তে ন্যূনতম সম্মানও তাঁরা পাননি। উলটে রোজই টলিউডের জনপ্রিয় এক প্রযোজনা সংস্থার দাদাগিরি সহ্য করতে হয়েছিল টিমকে। যে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ অনির্বাণ!

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে শ্রেয়াকে যোগাযোগ করা হলে শ্রেয়া জানান, ”প্রথমেই আমি সবাইকে বলতে চাই। আমি কোনও লড়াইয়ে নামিনি। আমার অনির্বাণদার সঙ্গে কোনও লড়াই নেই। লড়াই নেই কোনও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও। আমার একটাই অভিযোগ এত বছর ধরে অনির্বাণদার হয়ে কাজ করছি। তাঁর পেজটাকে ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছি, পরিবর্তে সম্মান তো পায়নি। উলটে অপমানিত হচ্ছি। যে অনির্বাণদাকে মারাত্মক সম্মান করি, তিনি বিশ্বাসঘাতকা করেছেন। আমি প্রতারণার শিকার! আমি আবারও বলতে চাই, কোনও লড়াইয়ে যেতে চাই না। গোটা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে মিটমাট করতে চাই।”

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

Advertisement

শ্রেয়ার কথায়, ”আমি প্রথম থেকেই অনির্বাণদার ফ্যান। আমার ভীষণই পছন্দের মানুষ অনির্বাণদা। প্রথমদিকে যিনি অনির্বাণদার পেজটা দেখতেন, সেই আমাকে অনির্বাণদার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। তারপর থেকেই অনির্বাণদার পেজের হয়ে কাজ করা শুরু। খুব ভালবেসেই কাজটা করতাম। প্রায় রোজই কথা হত নানা প্ল্যানিং নিয়ে। সেই সময় নামী প্রযোজনা সংস্থা অনির্বাণদার পেজ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। আমিই ফটোশুট করাচ্ছি, নাটকের প্রোমোশন চলছে, ভিডিও এডিট চলছে। এসব বিষয়ে আমি কোনওদিনই পারিশ্রমিক চাইনি, পারিশ্রমিক দেয়নি। ২০১৮ সালে পুজো উদ্বোধন এবং এছাড়াও অন্য কাজ হলে আমাকে বলত, তুমি কিছুটা টাকা রেখে দাও। কিন্তু আমি এভাবে টাকা নিতে চাইতাম না। আমারও তো ট্যাক্সের ব্যাপার রয়েছে। অন্তত, মেইল বা অন্যভাবে প্রমাণ রেখেই টাকা নিতে চেয়েছি। মানুষ হিসেবে অন্তত এতটুকু সম্মান তো রয়েছে। সেই সম্মানটাই চাই আমি।”

[আরও পড়ুন: নতুন রহস্যের সমাধানে ফের আসছে সোনাদা, প্রকাশ্যে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ ছবির পোস্টার ]

শ্রেয়া আরও জানান, ”মূলত সমস্য়া শুরু হয় ওই নামী প্রযোজনা সংস্থার অত্যাচার থেকেই। আমরা নিজস্ব সেটআপে কাজ করি। সেখানে দাঁড়িয়ে দিনের পর দিন রীতিমতো ফোর্স করা হত, ওই প্রযোজনা সংস্থার হয়ে নানা পোস্ট করার। আমার একটাই জিজ্ঞাসা, আমি তো স্বাধীনভাবে কাজ করি, আমি চুক্তিবদ্ধ নই। তাহলে কেন এই চাপ? আমাকে তো এ ব্য়াপারে কোনও অর্থও দেওয়া হত না! অনির্বাণদাকেও জানিয়েছি, কিন্তু সমস্য়ার সমাধানের আগেই অনির্বাণদা আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। ব্লক করে দেন আমাকে। এমনকী, অনির্বাণদার ম্যানেজার আমাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অনির্বাণদার সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছি না। তারপর হঠাৎ দেখি পেজ হ্যাক করে, সেই পেজে পোস্ট করা হয়েছে। এই আচরণে হতবাক আমি।  আমি তো আলোচনা করতেই চেয়েছিলাম। খুবই অপমানিত লাগছে। পুরো ঘটনায় মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত।”

শ্রেয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পুরো বিষয়টাও জানিয়েছেন। সেই পোস্টে শ্রেয়া ও তাঁর টিম জানিয়েছেন এখন থেকে তাঁরা আর অনির্বাণের পেজ সামলাচ্ছেন না। পোস্টে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শ্রেয়া। তবে এ ব্যাপারে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনির্বাণ।

[আরও পড়ুন: সুস্থতার পথে রাজু শ্রীবাস্তব! ১৫ দিন পর জ্ঞান ফিরল কমেডিয়ানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ