Advertisement
Advertisement

Breaking News

Aparna Sen

মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা তৃণমূলের! পার্থ ইস্যুতে সরব অপর্ণা সেন

আর কী বললেন অর্পণা?

Aparna sen on Partha Chatterjee Issue | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:July 29, 2022 12:32 pm
  • Updated:July 29, 2022 6:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরিবের টাকা গরিবকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন। শুক্রবার টুইট করে অপর্ণা লেখেন, ”গরিবদের শোষণ করে এই অর্থ এসেছে। পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে বার করে মুখরক্ষার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই প্রক্রিয়ায় সবটা ধুয়ে ফেলা যায় না। যে সমস্ত মানুষদের থেকে এই টাকা লুট করা হয়েছে, তাদের কাজেই এই উদ্ধার হওয়া টাকা ব্যবহার হওয়া উচিত।”

অপর্ণা সেনের টুইটের প্রতিক্রিয়ায়, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন,  ”কে, কোথায়, কী টুইট করছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে নজর রাখা সম্ভব নয়।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) একাধিক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকা কি শেষ পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি হিসাবেই গণ্য হবে? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের পর তল্লাশিতে যে ৫০ কোটি টাকার উপর নগদ টাকা ও কয়েক কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি এখন ‘কোর্ট এক্সিবিট’। তার সিজার তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এই অবস্থায় সাধারণভাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ‘মালখানা’য় মজুত করে রাখা হয় উদ্ধার হওয়া টাকা। এই ক্ষেত্রেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি’র হেফাজতেই নিয়ে আসা হয়েছে এই ট্রাঙ্কভরতি টাকা ও গয়না।

Advertisement

ইডি’র সূত্র জানিয়েছে, পার্থ ও অর্পিতা হেফাজতে থাকাকালীন আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশির সম্ভাবনা রয়েছে। আরও টাকা বা সোনা উদ্ধার হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ইডি আধিকারিকরা। তাই আপাতত ট্রাঙ্কবন্দি অবস্থায় থাকছে উদ্ধার হওয়া এই টাকা। এই টাকা পরবর্তী সময়ে ইডির নিজস্ব লকার বা ভল্টে রাখা হতে পারে। আবার ইডির বিশেষ অ্যাকাউন্টেও জমা করা হতে পারে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। যেহেতু যে ফ্ল্যাটগুলি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার মালিকানা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে, তাই এই টাকা অর্পিতার বলেই ধার্য করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার সেক্স টয়, ‘পার্থবাবুদের একটু ইচ্ছে করতে পারে না!’ কটাক্ষ শ্রীলেখার]

এমনকী, অর্পিতা যদি ওই টাকা পার্থবাবুর বলে দাবিও করেন, তবুও সিজার লিস্টে ওই টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে বলেই দেখানো হয়েছে। অর্পিতার বিরুদ্ধে ইডির মামলা যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন ইডির হেফাজতেই থাকবে ওই টাকা ও সোনা। অভিযুক্ত আদালতে নথি পেশ করে মালিকানা প্রমাণ করতে না পারলে সেই টাকা ও সোনা বাজেয়াপ্ত করা হবে। মামলায় যদি প্রমাণিত হয় যে, ওই টাকা বৈধ, তবে সেই টাকা সুদ-সহ ফেরত পাবেন অর্পিতা। তবে বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে অর্পিতা দোষী প্রমাণিত হলে ব্যাপারটি অন্যরকম হবে। মামলা নিষ্পত্তির শেষে ওই সম্পত্তি সরকারের বলে বিবেচিত হবে।

[আরও পড়ুন: চার হাতের শিশু, রক্তাক্ত দুই পা, ‘লক্ষ্মী ছেলে’র টিজারে চমক দিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ